ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘টিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
‘টিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ’

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, টিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই আসল চ্যালেঞ্জ। এগুলো সমাজে ঝুঁকি তৈরি করেছে।

যথাযথ তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে বলে স্মরণ করিয়ে দেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নিজ বাসভবনে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এটি বাংলাদেশের জন্য বিশাল একটি বছর।

সাক্ষাতে অন্যান্যের মধ্যে ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশনার বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কয়েকটি অনুষ্ঠান ভার্চ্যুয়ালি এবং কিছু অনুষ্ঠান ব্যক্তিগত উপস্থিতির মাধ্যমে পালন করা হবে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বাণিজ্য সংলাপ, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আরও জোর দেওয়া, শিক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের আসন্ন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ২০২১ সালে নজর দেবে ব্রিটিশ হাইকমিশন।

ডিকসন বলেন, জলবায়ু ইস্যুটি বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য এবং পুরো বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

চলতি বছরের ১-১২ নভেম্বর গ্লাসগোতে হতে যাওয়া ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬) আয়োজন করবে যুক্তরাজ্য। প্যারিস চুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত্ব করতে কপ২৬ সম্মেলনে সবাইকে একত্রিত করা হবে।

যুক্তরাজ্য বলছে, তারা কপ২৬-এর আগে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা প্রথম সারির সব দেশ এবং সুশীল সমাজ, সংস্থা এবং মানুষের সাথে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অনুপ্রেরণা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, জলবায়ুর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিভিএফে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের জোট হলো সিভিএফ। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ফোরামটি বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী সরকারগুলোর একত্র হয়ে কাজ করার জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

২০১১-১৩ সালে সিভিএফের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো ২০২০-২২ সালের জন্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।

শেখ হাসিনা ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয় চালু করেছেন। এটি জিসিএ ও সিভিএফ স্বাক্ষরিত বর্তমান এমওইউ অনুসারে সিভিএফের সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে।

রোহিঙ্গা বিষয়ে বলতে গিয়ে ডিকসন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে এবং এটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার।

সাক্ষাৎকালে ডিক্যাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।