ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
রাজশাহীতে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজশাহী: রাজশাহীতে গ্রাহকের হিসাব থেকে ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী ও কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম আহসান হাবীব নয়ন। তিনি রাজশাহী মহানগরের বহরমপুর ব্যাংক কলোনির বাসিন্দা। তার বাবার নাম হারেজ উদ্দিন। ঘটনার সময় তিনি অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহীর গোদাগাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানির পর তাকে গোদাগাড়ী শাখা থেকে বদলি করা হয়। বর্তমানে রাজশাহীতে অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম-এর কার্যালয়ে প্রিন্সিপ্যাল অফিসার পদে কর্মরত।

সাবের আলী নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব থেকে কৌশলে ছয় লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী শাখা এবং অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তদন্তে বিষয়টি ইতোমধ্যেই উঠে এসেছে।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবের আলী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সাবের আলী ট্রেডার্স’ এর অগ্রণী ব্যাংকে একটি ১০ লাখ টাকার এসএমই সিসি (হাইফো) ঋণ সুবিধা নিয়েছেন। সাবের আলী ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট নিজে ব্যাংকে গিয়ে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দিয়ে টাকা তোলেন। সেদিন তিনি তার ব্যাংক হিসাবের স্থিতি জানতে চাইলে ৬ লাখ টাকার গড়মিল দেখতে পান। এ সময় তিনি ব্যাংকের ঋণ হিসাব বিবরণী যাচাই করে দেখেন, ২০১৯ সালের ১৬ জুন তার ৪৩০৮১৭২ নম্বরের একটি চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা তোলা হয়েছে।

দুদক অনুসন্ধান করে দেখেছে, ছয় লাখ টাকা উত্তোলনের এক সপ্তাহ আগে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক আহসান হাবীব নয়ন গ্রাহক সাবের আলীকে জানান, তার ঋণ হিসাবটি শূন্য করার জন্য একটি ফাঁকা চেক প্রয়োজন। এ জন্য আহসান হাবীব নয়ন ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী আফজাল হোসেনকে ১৬ জুন সাবের আলীর বাড়িতে পাঠালে তিনি ওই চেকটি দিয়েছিলেন।

এরপর নয়ন চেকে নিজ হাতে ৬ লাখ টাকা পরিমাণ লিখে নিজেই চেক ক্যানসেলেশন করে ব্যাংকের কাউন্টারে গিয়ে চেকটি দিয়ে টাকা তার কক্ষে আনতে বলেন। প্রক্রিয়া শেষে চেকটি ক্যাশ করে ৬ লাখ টাকা নয়নের কক্ষে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে নয়নের অপরাধ প্রমাণিত হলে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ৩টি জমা ভাউচারে সাবের আলীর হিসাবে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেন। এই টাকা ফেরত দিয়ে তিনি নিজেই তার অপরাধকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।