ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের স্বার্থেই দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা দরকার। অতীতে আমরা সারা বিশ্বকে বারবার সেই প্রমাণও দেখিয়েছি।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (রিস)-এর যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত 'বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব: আগামী ৫০ বছরের অগ্রযাত্রা' - শীর্ষক এই সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। এই অবস্থানে থাকার কারণে আমার দৃষ্টিতে ভারতের দায়িত্ব এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরি ও বজায় রাখা। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা, পানি বণ্টন, সীমান্তের ঘটনা এবং বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় সীমানা নির্ধারণের মতো জটিল বিষয়ে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা উভয় পক্ষের জন্য খুব কমই ভালো হয়েছে। উভয় দেশের স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, তখন ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্ব এই অঞ্চলকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেবল দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব ও শান্তির জন্যই নয়, বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং উপমহাদেশের উন্নয়নের জন্যও কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বিগত ৫০ বছরে প্রমাণিত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, গত ৫০ বছর আমাদের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের পরিস্থিতিতে পরবর্তী ৫০ বছরের পথ দেখাবে। যেখানে বন্ধুত্ব এবং অংশীদারিত্ব আরও গভীরভাবে সুসংহত হবে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ড. বীনা সিক্রি, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
টিআর/এমএইচএম