ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টোকিওতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
টোকিওতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন

ঢাকা: টোকিওর বাংলাদেশ ও ভারতের দূতাবাস যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর বা মৈত্রী দিবস পালন করেছে। দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক সংবর্ধনা ও সান্ধ্য ভোজের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে স্বাগত জানান।  

জাপানের সংসদ সদস্য, টোকিওস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রধানরা, জাপানের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ-ভারতের জাপান প্রবাসী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।    

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোন্ডা তারো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।  

তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান যা সাম্প্রতিককালে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে আরও মজবুত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন দুদেশের সঙ্গে সহযোগিতার এ সম্পর্ক দিন দিন আরও সম্প্রসারিত হবে।  
 
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার স্বাগত বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি শ্রদ্ধা জানান ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় চার নেতার প্রতি। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ নাগরিক যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত এবং মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের সরকার ও সাধারণ জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করতে দুদেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।  

রাষ্ট্রদূত ভার্মা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আজ অনেক পরিপক্ক ও গভীরের ফলে দুদেশের অনেক জটিল ও অমিমাংসিত সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে সহজে ও বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে সমাধান সম্ভব হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বের যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং শান্তি, সমতা, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে দুদেশ সর্বদা একযোগে কাজ করবে।  

অনুষ্ঠনে দুদেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।