ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অসময়ের বৃষ্টিতে নড়াইলে কৃষকদের মাথায় হাত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
অসময়ের বৃষ্টিতে নড়াইলে কৃষকদের মাথায় হাত ছাব: বাংলানিউজ

নড়াইল: শীতের মধ্যে অসময়ের এ টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন নড়াইলের কৃষকরা। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধানের বীজতলা, হুমকির মুখে শীতকালীন সবজি ও ফসল।

নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পাকা আমন ধান। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, বৃষ্টি চলমান থাকায় তার পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অগ্রহায়ণ মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয় না ধরে নিয়ে অনেক কৃষক বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা করেছেন অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে। বৃষ্টির পানিতে যার প্রায় আশিভাগ তলিয়ে গেছে। ফলে বোরো আবাদে বিলম্বিত হবে এবং খরচ বেড়ে যাবে। আর দেরিতে আবাদের কারণে আশানুরুপ ফলনও হবে না। এত করে লোকসানের মুখে পড়বে বোরো চাষিরা।

সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, রবি ফসল- গম, শরিষা, মসুর ডাল, শীতকালীন সবজি- মরিচ, লাল শাক, বেগুন, মূলা, পাতা কফি, ফুল কপি ও ওল কপির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কারণ হঠাৎ বৃষ্টির পানি সহ্য করতে পারে না এসব ফসল।

কৃষি সম্প্রসরণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে ১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমির শতিকালীন ফসল, ১শ’ ৬২ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা, ৫০ হেক্টর জমির মরিচ, ৭হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির সরিষা, ৭ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির মসুর ডাল এবং ২ হাজার ১ হেক্টর জমির গম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাবরা গ্রামের কৃষক শেখ ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছয় খন্ডে ১২ কেজি ধানের বীজ ফেলেছিলাম। তার চার খন্ডই তলিয়ে গেছে। গামলা দিয়ে পানি সেচে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা করছি।

ফুলদাহ গ্রামের কৃষক রাজিব মোল্যা বাংলানিউজকে জানান, চার একর জমিতে পাকা আমন ধান ছিলো তার। অর্ধেকের বেশি কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন। বাকিটা এখনও কাটা হয়নি। বৃষ্টিতে তা তলিয়ে গেছে। জমিতেই ঝরে গেছে অনেক ধান। এখন ওই ধান ঘরে তুলতে তার শ্রমিক খরচ পড়বে প্রায় দ্বিগুণ।

নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে শতিকালীন ফসল ও সবজি, বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও বৃষ্টি শেষ না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে এ বছর রবি আবাদ বিলম্বিত হবে এবং এ কারণে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।