ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নেপাল-ভুটানের জলবিদ্যুতে উপকৃত হবে ঢাকা-দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
নেপাল-ভুটানের জলবিদ্যুতে উপকৃত হবে ঢাকা-দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাক্ষাৎ

ঢাকা: নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঢাকা এবং দিল্লি উপকৃত হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনা বলেন, নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। কারণ, এটি হবে সবুজ জ্বালানি এবং সস্তাও।

সাক্ষাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ইস্যুতে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের ছোটখাট কিছু বিষয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজেবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। আমরা চাই এ সমস্যার সমাধান হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে একমত হয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব।

কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সামলে ভারত স্বাভাবিকের দিকে ফিরে আসছে বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সবাই সতর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে এ পর্যন্ত প্রায় ২১ জনের শরীরে নতুন এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও করোনার এই ধরন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে।

শ্রিংলা কোভিড-১৯ মহামারি কালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ভারতেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান। তিনি বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানানোয় ধন্যবাদ জানান এবং একে ‘বন্ধুত্বের বিশেষ বন্ধন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতে উভয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত বিশ্বজুড়ে তার মিশনগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী পালন করবে। ওইসব দেশের স্থানীয় জনগণের মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরবে।

শ্রিংলা আশা করেন, কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে জাতিসংঘে ভারত ও বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি যৌথ ছবির প্রদর্শনী করবে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলেন এবং এ খাতে নতুন প্রযুক্তি শেয়ার করারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশে-ভারত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে চায়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিলিগুড়ি-পার্বতীপুর, ঢাকা-শিলিগুড়ি এবং ঢাকা-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশও কোভিড-১৯ মহামারির ধকল সামলে উঠে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরছে।  

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ লোক বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। যেখানে গ্রিড লাইন নেই সেখানে সরকার সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা অশোক মল্লিক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমইউএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।