ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিরাপদ খাদ্য: জাইকার সহযোগিতা প্রকল্প নিয়ে কর্মশালা 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
নিরাপদ খাদ্য: জাইকার সহযোগিতা প্রকল্প নিয়ে কর্মশালা 

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাইকার কারিগরি সহায়তায় যেসব প্রকল্প চলছে, সেগুলো সম্পর্কে জানানোর জন্য কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।  

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রকল্প অবহতিকরণ ও কৌশলগত পরিকল্পনা (স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান) অবমুক্তকরণ’ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিদর্শন, রেগুলেটরি এবং সমন্বয় কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি দীপংকর তালুকদার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাইউম সরকার, বাংলাদেশে নিয়োজিত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া, প্রকল্পের টিম লিডার আতসুশি কোয়ামা, বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং ড. লতিফুল বারী (প্রধান বিজ্ঞানী এবং পুষ্টি ও কৃষি গবেষণা বিভাগের প্রধান, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শহরে বাস করে এবং এর মধ্যে মধ্যবিত্তের জন্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদন, বিতরণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনের প্রতিটি পর্যায়ে গুণমান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হয়েছে এরকম খাদ্য নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্যে জীবাণু এবং রাসায়নিক দূষণ, খাদ্যে ইচ্ছাকৃত এবং অনিচ্ছাকৃত ভেজাল, কৃষি পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে অস্বাস্থ্যকরভাবে প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডা. মো লতিফুল বারী। তিনি জাপানে তার ১৮ বছরের একাডেমিক ও গবেষণার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, খাদ্য নিরাপত্তায় সচেতনতা, খাদ্য বিশ্লেষণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে আইসিটিভিত্তিক খাদ্য নিরাপত্তা নজরদারির উপর ভিত্তি করে ঝুঁকিসমূহের নানাদিক বিশ্লেষণের গুরুত্বের ওপরেও জোর দেন।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাপানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন জোরদার করা হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ফুড বিজনেস অপারেটরদের জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক নজরদারি এবং তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। খাদ্য পরীক্ষা এবং পরীক্ষাগার ব্যবহার ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হবে। বিএফএসএ এবং এফবিও’রা এই প্রকল্পের সরাসরি সুবিধাভোগী এবং সেই অনুযায়ী এই দেশের প্রতিটি নাগরিক এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ। ভিশন ২০৪১ -এর লক্ষ্য হল ২০৩১ সালের মধ্যে পুরোপুরি দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করা। নিরাপদ খাদ্য প্রশাসনকে শক্তিশালী করে সুস্থ নাগরিক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের এই উন্নয়নের পদযাত্রা অব্যাহত রাখতে অবদান রেখে চলেছে জাইকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।