ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানুষের ভয়ে শাবক রেখে পালালো মা মেছো বিড়াল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
মানুষের ভয়ে শাবক রেখে পালালো মা মেছো বিড়াল

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মানুষের তাড়া খেয়ে দু’টি শাবক রেখে পালিয়েছে মা মেছো বিড়াল। এদিকে ওই দুইটি শাবক একটি গর্ত থেকে ধরেছে স্থানীয়রা।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে চুনারুঘাট উপজেলার সারেকোনা গ্রামে কবরস্থানের গর্ত থেকে এলাকাবাসী শাবক দু’টিকে ধরে আনেন। পরে পুলিশ ও বনকর্মীরা এসে পুনরায় বাচ্চাগুলোকে আগের স্থানে রেখে দেয়।

জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় একটি মেছো বিড়াল রাজারবাজার ও রাণীরকোট এলাকার ৬ জনকে কামড়ায়। এ ঘটনা স্থানীয় মসজিদের মাইকে জানানো হয়। প্রাণটিকে বাঘ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপকভাবে প্রচার হলে এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার একাধিক স্থানে কয়েকশ’ মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে প্রাণীটিকে মারতে বের হন। রাত আড়াইটা পর্যন্ত এটিকে মেরে ফেলার তাড়া করেছেন স্থানীয়রা। পরে বাচ্চাগুলোকে রেখে মা মেছো বিড়ালটি চলে গেছে।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাচ্চাগুলোর শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগুলোকে ধরে আনেন। এলাকার কয়েকজন প্রথমে বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। পরে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা গিয়ে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেন।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে শাবকগুলোর বয়স দুই থেকে তিন দিন হবে। বন্যপ্রাণী সেবা কেন্দ্রে আনলে এগুলোকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। তাই পুনরায় আগের স্থানে রাখা হয়েছে। রাতে যেন মা বিড়ালটি এসে শাবকগুলোকে নিয়ে যেতে পারে এজন্য লোকসমাগম না করতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, বিড়ালটি মানুষের ওপর আক্রমণ করার কথা না। তার বাচ্চা ও নিজেকে বিপদগ্রস্ত মনে করে মানুষকে কামড়িয়েছে। বাচ্চাগুলোকে আগের জায়গায় রেখে লোকসমাগম না করলেই সে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যেতে পারে। তা না হলে বাচ্চাগুলোকে বন্যপ্রাণী সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।