ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বসুন্ধরা বিটুমিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বসুন্ধরা বিটুমিন

ঢাকা: প্রকৌশলীদের ঝুলে থাকা অর্গানোগ্রাম শিগগির ছাড় করার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

তিনি বলেন, এটি এখন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

আমাদের আশা সংস্থাপন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিসহ আগামী এক বছরের মধ্যে এই অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত হবে।

শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবন অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের গোল্ডেন স্পন্সর বসুন্ধরা বিটুমিনের প্রকল্প প্রধান নাফিজ ইমতিয়াজ আলম বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বসুন্ধরা বিটুমিন। তারই ধারাবাহিকতা রক্ষায় করোনা মহামারির নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বসুন্ধরা বিটুমিনের উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান ছিল।

তিনি বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়া আরও ভালোভাবে অব্যাহত রাখার জন্য ভালোমানের পণ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের গবেষণা সক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিশিয়ানরা সম্পৃক্ত। একইসঙ্গে আপনাদের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করা গেলে এই উদ্যোগ আরও সমৃদ্ধ হবে। এতে দেশের টেকসই উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। এছাড়া দেশের সম্পদ দেশে রাখা এবং নিজেদের পণ্যকে উৎসাহিত করা যাবে।

সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুল হাসান পাঠানের সভাপতিত্বে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী।

প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, প্রকৌশলীরা সরকারের উন্নয়নের বড় অংশীদার হলেও তারা পেশাগত উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দীর্ঘদিন পরেও প্রকৌশলীদের পদসোপানের উন্নয়ন হয়নি। অথচ টেকসই উন্নয়নের জন্য এটা খুব জরুরি।

সভায় প্রকৌশলীদের উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, সড়ক ভবনের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ডে-কেয়ার সেন্টারের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া ধরে রাখতে হবে। হাতিরঝিলের জমি সড়ক অধিদপ্তরের আওতায় নিয়ে আসা প্রায় চূড়ান্ত। এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন ফটক করা হবে। এছাড়া এ মাসের মধ্যেই নির্বাহী কমিটি সম্মেলন ডাকা হবে বলে জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির সদস্যরা তাদের অর্গানোগ্রাম, নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন, নারী প্রকৌশলীদের সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নির্বাহী প্রকৌশলীদের সম্মেলন করার ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দিতে নেতাদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে এম মনিরুল হাসান পাঠান বলেন, প্রকৌশলীদের উন্নয়নে সমিতি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতার পরও করোনায় এই সময় অনেক কাজ হয়েছে। বিশেষ করে এই সময় নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন হয়েছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে। প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে সব ধরনের উদ্যেগ নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এছাড়া তিনি প্রকৌশলীদের পদসোপান উন্নয়নে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

অনুষ্ঠানে প্রায় দুইশ প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। সভায় গত এক বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পাশ করেন সমিতির সাধারণ সদস্যরা। প্রকৌশলীদের জন্য দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।