ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেকল থেকে ছাড়া পেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দিলেন তিনি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
শেকল থেকে ছাড়া পেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দিলেন তিনি! পানিতে ভাসছে সবুজের মরদেহ। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঝিনা গ্রামের ইটভাটা এলাকার মোস্তাকীন আলীর পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দিয়েছেন এক যুবক।  

রোববার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ওই যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম সবুজ আলী (২৮)। তিনি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের চকমাহাপুর গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে।

পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন সবুজ। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল তাকে। তার কান্নাকাটিতে কিছুদিন আগে ছেড়ে দেয় পরিবারের সদস্যরা। এরপর প্রতিদিনই সকালে বের হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেন।

বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রজ্ঞাময় মণ্ডল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রথমে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই যুবক। পরে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এরপরে আর তিনি উঠে আসতে পারেননি। এ ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে। এরপর তারা থানা ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।  

সবুজ আলীর ছোট ভাই পারভেজ আলী বলেন, শেকলবন্দি অবস্থায় তার কান্নাকাটির কারণে কিছুদিন আগেই ছেড়ে দিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে, ছাড়া পেয়ে তার ভাই এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা কখনও ভাবনায় ছিল না।

বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ঝিনা গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, মৃত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধারের পর জানতে পারেন সবুজ আলী মানসিক সমস্যা ভুগছিলেন।

এসআই প্রজ্ঞাময় মণ্ডল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মানসিক সমস্যার কথা বলেছেন।

এর পরেও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে৷ তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।