ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝগড়া থামাতে গিয়ে মৃত্যু: গ্রেফতার দুইজনের স্বীকারোক্তি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
ঝগড়া থামাতে গিয়ে মৃত্যু: গ্রেফতার দুইজনের স্বীকারোক্তি 

ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর জায়লস্কর গ্রামে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে নুরুল আফছার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- মো. জনি (২৩) ও জাহিদুল ইসলাম (২০)।

 

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে মা রোকেয়া বেগমসহ তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে ফেনীর দাগনভূঞার উত্তর জায়লস্কর গ্রামের শাহ আলম মাস্টার বাড়িতে চলাচলের পথে ময়লা আবর্জনা ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নারীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে বাড়ির পুরুষরাও এতে যোগ দেন। একপর্যায়ে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এক পক্ষের পিটুনীতে মারা যায় নুরুল আফছার (৪৫)। তিনি গ্রেফতার জনি ও জাহিদুলের চাচা।

জনি ও জাহিদুল জবানবন্দিতে জানায়, ঝগড়া ও মারামারিতে দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। তবে এতে নুরুল আফছার মারা যাবে এটা তারা ভাবেনি।   
  
এ ঘটনায় রাতেই নুরুল আফছারের স্ত্রী বাদী হয়ে জনি, জাহিদুল ইসলাম, তাদের মা রোকেয়া বেগম ও বাবা সফিকুর রহমানকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার পরই জনি, জাহিদুল ইসলাম ও তাদের মা রোকেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে। সফিকুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

এদিকে শনিবার ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নুরুল আফছারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে বিকেলে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থালে দাফন করা হয়।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম হাসান জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের মাসহ তিনজনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এসএইচডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।