ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দক্ষিণ সুদানে চাষাবাদের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
দক্ষিণ সুদানে চাষাবাদের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে বাংলাদেশ

ঢাকা: দক্ষিণ সুদানের সরকারি খাস জমি ইজারা নিয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচায়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের একটি দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। একই সঙ্গে দেশটিকে কৃষিপণ্য উৎপাদনে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী মি. দেং দাউ ডেং মালেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দক্ষিণ সুদান প্রাকৃতিক দিক থেকে অনেক সম্পদশালী। সেখানে অনেক খনিজ পদার্থ, স্বর্ণ ও তেল রয়েছে। এছাড়া কৃষির জন্য অনেক ভালো। অনেক ফসল হয়। শান্তি মিশনে আমাদের ১৭ সৈনিক সুদানে রয়েছে। তারা সুদানের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছেন। দেশটির আয়তন প্রায় ছয় লাখ বর্গ কিলোমিটার। লোক সংখ্যা মাত্র এক কোটি ২০ লাখ। এ বিরাট এরিয়ায় জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।  

তিনি বলেন, সুদানের সরকারকে আমরা আইডিয়া দিয়েছি যেসব জমিতে কোনো চাষবাস হয় না। এরমধ্যে যেগুলো সরকারের খাস জমি সেগুলো ইজারা নিয়ে ফসল উৎপাদন করা যায় কিনা। সেসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের নতুন উদ্যোক্তারা সেখানে যেতে চায়। আমাদের কাছে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকার এ বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছে।  

সুদানের যে জমি রয়েছে সেখানে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পড়ে থাকা খাস জমি কৃষি উৎপাদনের আওতায় নিয়ে আসা যায়। বছরে সাত মাস তাদের বৃষ্টি হয়। অনেক ভালো আবহাওয়া। সেখানে অনেক ফসল করা সম্ভব।  

বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দলে সুদানে পাঠানো হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, আমাদের কিছু কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের সেখানে পাঠানো হবে। সেখানে কি ফসল করা যায়, কোনো ধরনের ফসল উৎপাদন হবে। সে বিষয়ে তারা একটি প্রতিবেদন দেবে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম। সে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা সুদানে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের আমন্ত্রণ জানাবো।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা যদি সেখানে বিনিয়োগ করে এবং আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে যায় তাহলে সরকারের আওতায় এ সম্ভাবনা বেশি কাজে লাগানো যাবে। এসব বিষয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমরা আশা করছি সুদানকে কারিগরি সহায়তা দিতে পারবো ফসল উৎপাদন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।