ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দুদকের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণায় নেমেছে একাধিক চক্র: দুদক সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
দুদকের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণায় নেমেছে একাধিক চক্র: দুদক সচিব

ঢাকা: আবারো দুদকের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণায় নেমেছে এক বা একাধিক প্রতারক চক্র বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, এক বা একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ দাবি বা আদায় করছে এমন বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। এসব অভিযোগ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কোনো কোনো প্রতারক কখনও নিজেকে দুদক কর্মকর্তা আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আত্মীয় কিংবা পরিচিত অথবা বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কথিত ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে কিছু অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথাও শোনা যায়। এসব প্রতারক বা প্রতারক চক্র সাধারণত কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি, ব্যাংক-বিমায় কর্মরত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাছে তাদের নামে কমিশনে কল্পিত অভিযোগ রয়েছে অথবা কমিশনের বিবেচনাধীন কোনো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে টেলিফোনে অথবা মোবাইল ফোনে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দাবি করছে।

এ প্রেক্ষাপটে সবাইকে অনুধাবন করতে হবে, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এ সংস্থা কোনো ব্যক্তির একক অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অথবা অভিযুক্ত হওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই। কমিশন অনুসন্ধান বা তদন্ত সংক্রান্ত সব ধরনের যোগাযোগ টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে নিষিদ্ধ করেছে। কমিশনের এ সংক্রান্ত সব যোগাযোগ কেবল লিখিত পত্রের মাধ্যমেই করা হয়। টেলিফোন বা মোবাইলফোনে অভিযুক্ত বা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো প্রশাসনিক এবং আইনি সুযোগ নেই। এসব প্রতারকদের বেশকিছু সদস্যকে ইতোপূর্বে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দুদক দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সম্মানিত নাগরিকদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বার বার গণমাধ্যমের সহযোগিতায় প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। দুদকে বিবেচনাধীন রয়েছে অথবা কল্পিত কোনো অভিযোগ হতে অব্যাহতি বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে কোনো প্রতারক কোনো প্রকার অনৈতিক অর্থ বা সুবিধা দাবি করলে নিকটস্থ থানা অথবা র‍্যাব কার্যালয়ে জানানো যেতে পারে। এছাড়া দুদকের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী অথবা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো। এ জাতীয় প্রতারকদের আইন-আমলে আনতে যে বা যারা সহযোগিতা করবেন, দুদক তাদের সাধুবাদ জানাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।