ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বীকৃতির অপেক্ষায় ফুল দিয়ে বানানো শহীদ মিনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
স্বীকৃতির অপেক্ষায় ফুল দিয়ে বানানো শহীদ মিনার ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রকৃতিকে ভালোবেসে ১২ হাজার টবে সাদা লাল নীলসহ নানান রঙের পিটুনিয়া ফুল দিয়ে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি বানিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফরিন তাইয়্যেবা আলিফ। ফুল দিয়ে বানানো এতো বড় শহীদ মিনার বিশ্বের আর কোথাও নেই।

এজন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছেন এই শিক্ষার্থী।

রাজধানীর গুলশানের বেরাইদে ঠিকানা রিসোর্টে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে এটি বানানো হয়েছে। এটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। এমন শহীদ মিনার বানাতে পেরে আফরিন নিজেও আনন্দিত।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে আফরিন বলেন, আমরা মূলত প্রকৃতি নিয়ে কাজ করছি। গত বছর আমরা এখানে ফুল দিয়ে সাজিয়েছিলাম, এতে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। দেখলাম যে, মানুষ প্রকৃতিকে অনেক ভালোবাসে। তাই ভাবলাম আমি যেহেতু প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছি, এবার আমাদের ইতিহাসটাকেও সংরক্ষণ করার চেষ্টা করবো।

ইতিহাসকে তুলে ধরতে আগামীতেও কাজ করে যাবো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বয়সের অনেকেই হয়তো বাংলা ভাষার ইতিহাসটাকে নাও জানতে পারে। তারা যদি এখানে এসে শহীদ মিনারটাকে দেখে, ভাষায় মাস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে কথা উঠবে। এতে তারা অনেক কিছু জানবে। এই শহীদ মিনারটাকে কেন বানানো হয়েছে? আমাদের ইতিহাস নিয়ে কথা উঠবে। আসলে এই চিন্তা নিয়েই আমি ভাবলাম শহীদ মিনারটা বানাই। ফুল দিয়ে বানিয়েছি বলে মানুষের আকর্ষণটা অনেক বেশি।

আফরিন বলেন, কাঠ ও বাঁশের কাঠামোর ওপর এটা তৈরি করতে আমাদের ১২ হাজার ফুলের টব লেগেছে। একেকটি টবে প্রায় ২০টি করে ফুল রয়েছে। আমাদের এটার দৈর্ঘ্য ২২০ ফুট ও প্রস্থ ৩৪ ফুট। আমার ইচ্ছা ছিল এটা তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য আবেদন করার। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনের কাজ শেষ করেছি। এখন রেজাল্টের অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আমাদের এখানে এসেছিলেন। তিনি এটি দেখে অভিভূত হয়েছেন। বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। যেহেতু জাপান বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করে থাকে তাই আমাদের এখানে ফুল দিয়ে জাপানের একটি পতাকা বানানো হবে।

সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস মার্চ। ২৬ মার্চ উপলক্ষে কিছু করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সারি সারি রং বেরঙের ফুল দিয়ে বানানো শহীদ মিনার দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। পরিবার নিয়ে মিনারের সামনে ছবি তুলে ছুটির দিনটাকে ভালোই উপভোগ করছেন নগরবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
এসএমএকে/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।