ঢাকা, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেই ধানসিঁড়ি পাড়েই হতে যাচ্ছে জীবনানন্দ পাঠাগার-যাদুঘর

এইচ এম নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
সেই ধানসিঁড়ি পাড়েই হতে যাচ্ছে জীবনানন্দ পাঠাগার-যাদুঘর

ঝালকাঠি: ধানসিঁড়ি নদী। যাকে ঘিরে প্রকৃতিপ্রেমি কবি জীবনানন্দ দাশ একাধিক কবিতা লিখেছেন।

যেখানে তার বাল্যকালের স্মৃতি জড়িত আছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। জীবনানন্দ দাশ ও ধানসিঁড়ি নদী বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। সেই ধানসিঁড়ি নদী এবং জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি রক্ষার্থে উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পাঠাগার ও যাদুঘর স্থাপনের। সেইসঙ্গে রয়েছে আরও নানান পরিকল্পনা। নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।  

বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর-দক্ষিণমুখী সড়ক ঝালকাঠি-রাজাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের উত্তর পিংড়ি (বারইবাড়ি) এলাকায় প্রাথমিকভাবে জমিও নির্বাচন করা হয়েছে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ধানসিঁড়ি নদী ও জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০১৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে উদ্যোগ নেয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি জীবনানন্দ দাশের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ধানসিঁড়ি, সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান নদীর মোহনায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জীবনানন্দ দাশের রচিত কবিতা ও গ্রন্থের স্থায়ীভাবে সংরক্ষণশালা স্থাপনের জন্য ভাটারাকান্দা এলাকার ৪ শতাংশ জমিতে বালু ভরাট করে ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন উন্মোচন করা হয় ওই দিন। এসব অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।  

সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। পরে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। কারণ ধানসিঁড়ি নদী অনেক দূরে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও দুর্গম। ২০২২ সালের শুরুতে আবার নতুন করে উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সচিব কবির বিন আনোয়ার।  

সরেজমিন পরিদর্শন এবং ড্রোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করে দেখানো হয় সচিবকে। তিনি (সচিব) স্থানটি প্রাথমিকভাবে পছন্দ করেন এবং জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন উপলক্ষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শন করে ভিত্তি ফলক উন্মোচন করার দিন ধার্য করলেও করোনা বিধিনিষেধের কারণে বাতিল করেন। পরিকল্পনাপত্রে রয়েছে, জমিটি উপযোগীকরণ, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন, সুবিন্যাস্ত আসনের ব্যবস্থা, স্থায়ী স্টেজ, শৌচাগার, পায়ে হাঁটার উপযোগী সেতু, লেক, প্রহরীর ব্যবস্থাসহ আরও অনেক কিছু। স্থানীয়রাও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সৃজনশীল সরকারের নতুন কোনো সৃষ্টিতে পাঠকপ্রিয় বিনোদন প্রেমিদের বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার প্রত্যাশায়।  

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, ধানসিঁড়ি নদীর পাড়ে প্রকৃতিপ্রেমি কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি রক্ষার্থে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি অদূর ভবিষ্যতে সফল হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।