ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

লালন মেলায় সাধুদের আনাগোনা কম

জাহিদ হাসান জিহাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
লালন মেলায় সাধুদের আনাগোনা কম

কুষ্টিয়া: করোনার কারণে গত দুই বছর বসেনি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর  ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র আঁখড়াবাড়িতে মেলা। এবছর লালন মেলার আয়োজন করা হলেও মেলা ও সাধুদের অনুষ্ঠানের মধ্যে কিছুটা হেরফের হওয়ায় আসেননি বেশিরভাগ সাধুভক্ত।

মূলত দোল তিথি অনুয়ায়ী শুরু হয় লালন স্মরণোৎসব। সেই সঙ্গে সাধুদের অনুষ্ঠান মালার মধ্যে সাধু সঙ্গ, বাল্যসেবা ও পুণ্যসেবার মধ্যে দিয়ে শেষ হওয়ার রিতি চলে আসছে। সাধুদের অনুষ্ঠান মালার সঙ্গে মিল রেখে ইতোপূর্বে হয়েছে লালন মেলা। কিন্তু এবছর দোল পূর্ণিমার আগেই উদ্বোধন করার ফলে আসেননি অনেক সাধু। তবে যথারিতি সাধু সঙ্গ করতে সাধুরা চলে আসবেন। তাতে মেলার সঙ্গে কোনো মিলের প্রয়োজন নেই তাদের।

সাধুদের হিসেব মতে, বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের অধিবাস, শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে বাল্যসেবা এবং দুপুরে পুণ্যসেবার মধ্যদিয়ে শেষ হওয়ার কথা অনুষ্ঠানমালার।

এদিকে লালন একাডেমি ও জেলা প্রশাসন একদিন আগেই মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে।

দৌলতপুর থেকে আসা লালন অনুসারী নহেশ্বর জানান, সাধুদের দোল উৎসব শুরু হবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অধিবাস সেবার মাধ্যমে এবং শেষ হবে শুক্রবার পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে। দুই দিন আগে যদিও মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে, তবে সাধুরা যথারীতি সাধুসঙ্গ করতে চলে আসবেন।

তিনি বলেন, সাধুদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে মেলার কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আমাদের রীতিনীতি মেনেই সাধু সঙ্গ করব।

নওগা থেকে আসা লালন অনুসারী ফজলুল হক বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এখানে আসি। গত দুই বছর করোনার কারণে আসতে পারিনি। এবার এসে খুবই ভালো লাগছে। তবে মেলা আগে শুরু হওয়ার কারণে এখনও সাধু-গুরুরা আসেননি। তবে আশা করছি সাধুদের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই সবাই চলে আসবেন। ’

মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে দোল পূর্ণিমার আগেই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে আমরা যথারীতি সাধুদের নিয়মে বৃহস্পতিবার রাতে অধিবাস, শুক্রবার সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ করব মূল আয়োজন। ’

মেলায় ঘুরতে আসা পলাশ কুমার হালদার জানান, এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কম। করোনার কারণে অনেকেই আসেননি। এছাড়া অন্য বছরের তুলনায় সাধুভক্তদের আগমনও কম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ১৬ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।