ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভিজিডির উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ করেছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
ভিজিডির উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ করেছে সরকার

ঢাকা: বাংলাদেশের গ্রামীণ দুঃস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার জন বাড়িয়ে ১১ লাখ ৫০ হাজার জন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। একই সঙ্গে ভিজিডি এর নাম ২০২৩ সাল থেকে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রামে (ভিডব্লিইউবিপি) রুপান্তর হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভিজিডি কর্মসূচির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি। নো হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মত নাজমানারা খানুম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ডা. আ. এ. মো. মহিউদ্দীন ওসমানী।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ভিজিডির উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে ভিজিডি উপকারভোগী নারীর সংখ্যা ১০ লাখ ৪০ হাজার। গ্রামীণ এলাকায় দুঃস্থ নারীদের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার বাড়িয়ে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ ৫০ হাজার। গত ১০ এপ্রিল’২০২২ তারিখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপকারভোগী বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) নির্দেশনা মোতাবেক পরিবর্তন হচ্ছে ভিজিডির নাম। আগামী ২০২৩ সাল থেকে ভিজিডি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রাম (ভিডব্লিইউবিপি) নামে রুপান্তরিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদকৃত উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলা ভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিজিডি কর্মসূচি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ দুঃস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। এ কর্মসূচি দুঃস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যা নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করছে।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা এ সময় উপজেলা ভিত্তিক দারিদ্র্য এলাকা সঠিকভাবে বিবেচনা করে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। সভায় পুষ্টি চাল বিতরণ, উপকারীভোগীদের সঞ্চয় ও এনজিওর সার্ভিস চার্জ বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় অর্থ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সূচির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।