ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘বাড়ি ফিরতে পারার মাঝেই ঈদের আনন্দ’

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
‘বাড়ি ফিরতে পারার মাঝেই ঈদের আনন্দ’

মাদারীপুর: ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর থেকেই নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের ব্যস্ততা।

 

ফেরিতে পার হয়ে আসা খুলনার যাত্রী মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে বাড়ি ফিরতে পারার মাঝেই ঈদের আনন্দ। পরিবারের সবার জন্য ঈদের জামা কাপড়সহ কেনাকাটা করে বাড়ি যাচ্ছি। পরিবারের সদস্যরা আমার আশায় অপেক্ষা করছে। বাড়ি পৌঁছানোর পর যে ভালো লাগা, যে অনুভূতি তৈরি হয়। আমার কাছে সেটাই ঈদ! পথের শত ভোগান্তিকে পায়ে ঠেলে আমাকে বাড়ি পৌঁছাতেই হবে। ’

আনোয়ার হোসেন নামে গোপালগঞ্জের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা রয়েছে। তাদের রেখে ঈদ করার কথা স্বপ্নেও ভাবি না। লঞ্চে সারা পথ দাঁড়িয়ে এসেছি। সব জায়গায় ভিড়। কষ্টের মধ্যেও বাড়ি পৌঁছাতে পারলে যাত্রা পথের কষ্ট ভুলো যাই।

শনিবার সকালে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরার তাড়া। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে উপচে পড়া ভিড়। নৌযান থেকে নেমে গন্তব্যের পরিবহনে উঠতেও চলছে প্রতিযোগিতা।

ঘাট সূত্রে জানা যায়, নৌরুটে রোরো ফেরি বেগম রোকেয়া ও কে-টাইপ ফেরি ফরিদপুরসহ ২টি ফেরি সংযোজন হয়ে মোট ৯টি ফেরি চলছে। এরুটে পূর্ব নির্ধারিত সকাল ৬ থেকে বিকেল ৪টার পরিবর্তে বর্তমানে রাতেও ফেরি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

শনিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলোতে রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ফেরিগুলোতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদেরও ভিড় রয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে নেমে বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাচ্ছেন। ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‍্যাবসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।  

বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস চালু রয়েছে। ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীরাও পার হয়ে আসছেন। এছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের ভিড় রয়েছে উল্লেখ করার মতো। বাংলাবাজার ঘাটে যানবাহন আনলোড করেই ফেরিগুলো শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।  

লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, ঈদ যাত্রার প্রায় শেষ মূহূর্তে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার রাতে আবহাওয়া হঠাৎ বৈরি হয়ে উঠলে সাড়ে ৮টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। শনিবার ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে। তবে বাতাস থাকায় পদ্মায় ঢেউ বেড়েছে।

এদিকে, শনিবার সকালে শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে আসার সময় একটি স্পিডবোট ঢেউয়ের ধাক্কায় তলানি ফেটে ডুবে যায়। পদ্মাসেতুর নিচে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে বোটের ১১জন যাত্রীর সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে নৌপুলিশ দাবি করেন। এ ঘটনায় কোনো হতাহতও নেই।

বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে। অধিক যাত্রী বহন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।