চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ৩০ রোজা পূর্ণ করে সোমবার (২ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের মানুষ।
সকাল থেকেই জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উপজেলার গ্রামগুলোতে ঈদ উৎসব শুরু হয়।
সকাল ৯টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমামতি করেন মাওলানা এএসএম সালামত উল্যাহ। নামাজের আগে তিনি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন।
একই সময়ে হাজীগঞ্জের সাদ্রা হামিদিয়া সিনিয়র মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠত হয়। সেখানে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী। মূলত ৯৪ বছর আগে এ মাদরাসা এলাকা থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও ঈদের প্রচলন শুরু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.)। তাঁর অনুসারীরা এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার রোববার (১ মে) ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে সেখানে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম ঘটেনি।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরিফের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায়, আর সেই সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছে, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।
একদিন আগে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করা গ্রামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, বদরপুর, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ২, ২০২২
এসআই