ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত গোর-এ শহীদ ময়দান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২২
এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত গোর-এ শহীদ ময়দান

দিনাজপুর: রাত পোহালেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন মুসল্লিরা। করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর পর এবার ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন তারা।

দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ময়দান সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারে একসঙ্গে প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। সকাল ৯টায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

এবার ঈদের নামাজে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী ইমামতি করবেন।

দেশের সবচেয়ে বড় এ ঈদের জামাতের জন্য এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নামাজের সুবিধার্থে মাঠের গর্তে বালু ভরাট করে রোলার দিয়ে সমান করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনার ধুয়ে-মুছে রং করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। মাঠে মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য বেশ কয়েকটি তোরণ তৈরি করা হয়েছে। মুসল্লিদের ওযুখানা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের কাজও সম্পন্ন। নামাজের দাঁড়ানোর জন্য কাতারের লাইনের দাগও টানা সম্পন্ন হয়েছে।

ঈদের জামাতের জন্য মাঠকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।  

তিনি বলেন, তিন থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আসা প্রতিটি মুসল্লিকে তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এজন্য মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঠের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফইউ, ডিএসবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। মাঠের আইনশৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার থেকে। শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসি টিভি ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। শহরের প্রবেশের সব পথে চেকপোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহ মাঠের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, প্রতিবছরই এখানে ৫ থেকে ৬ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করে। পরপর দুই বছর করোনার কারণে এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমানে করোনার প্রকোপ নেই, তাই এবারও ওই পরিমাণে মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই শহরের সব ইমাম-মোয়াজ্জিনদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২২ একর আয়তনের দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ২০১৭ সালে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ৫২ গম্বুজের দুই পাশে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাব (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) তার উচ্চতা ৪৭ ফিট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। পুরো মিনার সিরামিক্স দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে উঠে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।