ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যবসায়ীকে হত্যা: অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২২
ব্যবসায়ীকে হত্যা: অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

বগুড়া: বগুড়ার সদর উপজেলায় মায়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে আব্দুর রাজ্জাক সরকার (৬৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে সদর উপজেলার দত্তবাড়ী মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত রাজ্জাকের ভাতিজা ওমর খৈয়ম রুপম (৪৫), সীমান্ত (২০), লিমন শেখ (২২), হিফযুল হক জনি (২৬) ও আল-আমিন (২২)। তাদের মধ্যে জনি ও আল-আমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

এর আগে, একদিন মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার শেকেরখোলা ইউনিয়নের মহিষাবাতান নতুন হাট বাজার এলাকায় রাজ্জাককে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়।  

নিহত আব্দুর রাজ্জাক সরকার বগুড়া সদর উপজেলার মহিষবাথান গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে। তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। তবে বগুড়া শহরে ও গ্রামের বাড়িতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনেক জায়গা জমি থাকায় বছরের অর্ধেক সময় বগুড়ায় বসবাস করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে আব্দুর রাজ্জাক সরকারের মা মারা যান। মঙ্গলবার ঈদের দিন রাতে তিনি বগুড়া শহর থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভাড়া করে মহিষবাথান গ্রামে যান। সেখাসে মায়ের কবর জিয়ারত শেষে মহিষবাথান বন্দরে দোকানে বসে চাপান করছিলেন। এমন সময় ৮-১০টি মোটরসাইকেলযোগে একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে। এরপর একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে কোপায়। এসময় তিনি তার ব্যবহৃত লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিছু দুর দৌড়ে গিয়ে ত্রিমোহনী নামক স্থানে আব্দুর রাজ্জাক সরকার রাস্তায় পড়ে যান। এসময় সন্ত্রাসী তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতার পাঁচজনই রাজ্জাক হত্যায় সরাসরি জড়িত। মঙ্গলবার রাতে মহিষাবাতান এলাকার নতুন হাট বাজারে রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যার পর একটি প্রাইভেট গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-খ ১৫-৫৫৭২) চড়ে তারা শহরে আসেন। এসময় দত্তবাড়ী মোড়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল গাড়িটির বেপরোয়া গতি দেখে থামিয়ে দেয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনি ও আমিনকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে গাড়ি তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তলসহ রুপম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, নিহত রাজ্জাকের ভাতিজা রুপমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, ঠিক কি জন্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে এটি আমরা এখনও নিশ্চিত নয়। গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ইতোমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।