পাবনা: দেশব্যাপী ভোজ্য তেলের সংকটময় পরিস্থিতির মূল রহস্য উন্মোচনের জন্য মাঠে নেমেছে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে পাবনায় অবৈধভাবে ভোজ্য তেল মজুদকৃত ডিলারদের দোকান ও গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই অভিযান ও ন্যায্যমূল্যে তেল প্রাপ্তির কথা ছড়িয়ে পড়লে ১২ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে পাত্র নিয়ে অভিযানকৃত দোকানের সামনে হাজির হন সাধারণ ক্রেতারা। এ সময় কাশিনাথপুর সুনিল ও লক্ষণ কুমার সাহার গোডাউন থেকে সামান্য কিছু তেল দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেন মালিক পক্ষের কর্মচারীরা। অপর দিকে মীর ট্রেডার্সের উদ্ধারকৃত তেল এখনো বিক্রি করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এদিকে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে তেল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ ক্রেতারা। বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবহিত করলে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আবারো তেল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, বাজারে ২০০ টাকা লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে। এখানে একটু কম দামে পাওয়ার জন্য আসা। যারা অধিক মুনাফার আশায় তেল আটকে রেখেছেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করে না কেন!
ঘটনার বিষয়ে পাবনা আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রওশন আলী বলেন, একদিন আগে আমাদের আমিনপুর ও বেড়া থানাধীন কাশিনাথপুর বাজারে তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়েছেন ডিবি পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এখানে তিনটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ মজুদকৃত ভোজ্যতেল উদ্ধার হয়।
সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। অভিযানের পরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী দুই তিনদিনের মধ্যে এই তেল পূর্বের সরকার নির্ধারিত দামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রির জন্য।
প্রসঙ্গত, ১১ মে (বুধবার) পাবনা সুজানগর, কাশিনাথপুর বাজার ও পাবনা বড় বাজারে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদকৃত ১ লক্ষ ২৫ হাজার লিটার ভোজ্য তেল জব্দ করে প্রশাসন।
পৃথক অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন, পাবনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জহুরুল ইসলাম, বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সবুর আলী, সাঁথিয়া উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার মো, মনিরুজ্জামান, সুজানগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মির্জা ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও ডিবি ওসি মো. আতাউর রহমান খন্দকার ও পুলিশ সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
এসআইএস