ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, ইউএই’র নতুন প্রেসিডেন্টকে পাঠানো বার্তায় এ অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।
অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পদে আপনাকে নির্বাচন করায় এটাই প্রমাণ করে যে, আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা এবং বিচক্ষণ্নতা ও দূরদর্শীতার প্রতি ইউএই’র ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল ও জনগণের গভীর আস্থা রয়েছে।
ইউএই’র সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যার ফলে উভয়ের মধ্যে বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার সহযোগিতার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউএই’র স্বীকৃতি দেওয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ইউএই বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, যার ফলে ভ্রাতৃপ্রতিম আরব দেশগুলোর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ সুগম হয়েছিল। আর এভাবে অঞ্চলটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত স্থাপিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, আমাদের মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আজ পারস্পারিক সহযোগিতার উঁচু পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমাদের দুদেশের মধ্যে মানবসম্পদ, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা খাতসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান এ সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব আরও গভীর হবে এবং অভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ইউএই’র নতুন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য কামনা করার পাশাপাশি ইউএই’র ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
এমইউএম/আরবি