খুলনা: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে বিভাগীয় কর্মশালা খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৯ মে) দুপুরে খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল আমরা যেমন পাচ্ছি, তেমনি এ সুবিধা ব্যবহার করে অনেকে মাদক গ্রহণ করছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সামাজিক ও পরিবারিক জীবন নিশ্চিত করতে মাদক নির্মূলের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মাদকের কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। উন্নয়নের মূল শর্ত হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা। তাই এ কর্মপরিকল্পার লক্ষ্য হলো মাদকসেবীর সংখ্যা যেন আর একটিও না বাড়ে। একটি সুস্থ, শিক্ষিত ও মেধাবী যুবশক্তি গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করতে হবে। তিনি সব বিভাগীয় শহরে ড্রাগ এডিকশন টেস্টের নিমিত্তে ল্যাবরেটরি স্থাপনের কথা বলেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশমালায় উল্লেখযোগ্য মাদকের প্রভাবে মরণব্যাধির বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী কমিটি করা এবং চাকরি, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ বিবিধ ভাতা প্রদানে ড্রাগ এডিকশন টেস্ট করার কথা বলা হয়। এছাড়া নিয়মিত মাদকবিরোধী প্রচারণাসহ সীমান্তবর্তী জেলায় নিবিড় অভিযান চলমান রাখার বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা বিজিবির সেক্টর কমান্ডার মোঃ মামুনুর রশীদ ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এমআরএম/আরবি