নাটোর: নাটোরে চার বছর আগে গুম হওয়া গৃহবধূ আসমানীকে (২০) টাঙ্গাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (০১ জুন) দুপুরে পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের এলাকায় শিবদুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে আসমানী গুম হন। এসময় শ্বশুরবাড়ি থেকে আসমানীর বাবা-মাকে জানানো হয় আসমানীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
খবর পেয়ে আসমানীর বাবা আকবর আলী সরদারসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে দীর্ঘ পাঁচ মাস মেয়ের কোনো সন্ধান পান না। পরে শিবদুর গ্রামের দুই ব্যক্তিকে নিয়ে আসমানীর বাবা তার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সেখানে আসমানীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ও আসমানীকে মেরে মরদেহ গুম করা হয়েছে বলে জানান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
পরে ২০১৯ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি নাটোর সদর থানায় আসমানীর বাবা আকবর আলী সরদার বাদী হয়ে আসমানীর স্বামী দুলাল ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ স্বামীর পরিবারের সদস্যর নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসমানীর শ্বশুরকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করেন। এসময় আদালত অধিক তদন্ত করতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর থেকে পিবিআই পুলিশের একটি দল দীর্ঘ চার বছর পর ৩১ মে বিকেল ৩টার দিকে আসমানীকে জীবিত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের গোড়াই এলাকার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসমানী তাদের জানান, ২০১৫ সালে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতনেই কাউকে কিছু না বলে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন। এসময় তিনি পরিচিত কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সেখানে ভাড়া বাসায় থেকে জীবনযাপন করতেন। তবে তিনি কি কাজ করে জীবিকা রির্বাহ করতেন তা জানানো হয়নি।
পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, ভিকটিমকে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ০১,২০২২
আরএ