ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি

রাজশাহী: রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদ করার কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে পাতাল। পদ্মা নদীতে পানি না থাকায় খাল-বিলগুলোও মৃতপ্রায়।

এমন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলকে মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা করতে আবারও ‘উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে।  

রোববার (৫ জুন) সকালে মহানগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশে দীর্ঘদিন থেকে জানিয়ে আসা এ দাবির পুনরাবৃত্তি করা হয়।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘পরিবেশ বাঁচাও, কৃষি ও কৃষক বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।  

ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের পাতাল প্রায় পানিশূন্য। এটি আমাদের কথা নয়, সরকারি সংস্থার জরিপেই এ চিত্র উঠে এসেছে। আমরা দুই দশক ধরে উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও তা আলোর মুখ দেখেনি। এর অন্যতম কারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এ অঞ্চলকে মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাই।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এখন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চাষিদের সরবরাহ করে। এতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নামছে। এ সংকট কাটাতে উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্পের পরিকল্পনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এটি বাস্তবায়ন হলে ৭৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির চাষাবাদ সম্ভব হবে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার করেই।

পদ্মা নদীকে বাঁচিয়ে রাখার দাবি করে বক্তারা বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত পানি। কিন্তু আমাদের পদ্মা নদীতে পানি নেই। চার বছর পরই ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই পানির নায্য হিস্যা নিশ্চিত করে নতুন চুক্তি করতে হবে। পদ্মায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে কৃষিভাণ্ডার নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অনাহারে থাকব। দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে। তাই পদ্মায় পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প।

বাপার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নারী নেত্রী সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, রফিকুল ইসলাম মিলন, আদিবাসী নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, সালাউদ্দীন খান, তরুণ সংগঠক গোলাম নবী রনি, আল-আমিন বিন আরমান, সুফিয়া বেগম, জাহিদ হাসান, শ ম সাজু।

মানববন্ধন ও সমাবেশ পরিচালনা করেন বাপার জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ জোবায়েদ হোসেন জিতু।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।