কুষ্টিয়া: এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর ও অফিসকক্ষ ভাঙচুরের মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (০৫ জুন) দুপুরে আসামিরা কুষ্টিয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ তারিক এজাজের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন মুকুল। তিনি জানান, এর আগে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সোহেল রানা আশা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্টিসিপাটরি বেইলে (জামিন) ছিলেন। শনিবার (৪ জুন) জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদলত শুনানি শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকেসহ এ মামলার অপর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এদিকে রাজনৈতিক প্রভাবশালী আশার বিরুদ্ধে মামলা করে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া পৌর এলাকাধীন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে কাজ করছিলেন। এসময় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. সোহেল রানা আশা লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে আকস্মিকভাবে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন ও অফিসকক্ষ ভাঙচুর করে যান। এতে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে অন্য শিক্ষকদেরও মারধর করেন তিনি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা বিদ্যালয়ের মাঠে ইট, বালু, খোয়া, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন। এতে বাচ্চাদের অ্যাসেম্বেলি ও খেলাধুলার জায়গা দখল হয়ে আছে। এছাড়া স্কুলের প্রধান গেটের মুখে প্রায়ই ক্রাসার মেশিনে খোয় ভাঙা হয়। যার বিকট শব্দে শিক্ষার্থীদের পাঠদানও ব্যাহত হয়। বিষয়টি জানিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কাউন্সিলরকে মাঠ খালি করতে বলায় কাউন্সিলর আশা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন। অস্ত্র দেখিয়ে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আমি এখন চরম আতঙ্কে আছি। আমি বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
এসআই