ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১৫ জুন থেকে শুরু জনশুমারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
১৫ জুন থেকে শুরু জনশুমারি

ঢাকা: আগামী ১৫ জুন থেকে দেশে জনশুমারি ও গৃহ গণনা শুরু হচ্ছে। চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত।

 

এই জনশুমারি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সোমবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এ তথ্য জানান।  

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গণনা হবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এই গুরুত্বপূর্ণ লগ্নে উন্নত সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করতে এবারের জনশুমারি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকারের গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো সর্বাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা ডিজটাল জনশুমারি পরিচালানা করতে যাচ্ছি। বৈশ্বিক পজিশনে আমরা পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি পরিচালনার এক অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করতে যাচ্ছি যা আমাদের জন্য একটি গৌরবের বিষয়।

স্বাধানীতা উত্তর বাংলাদেশে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক সঠিক জনশুমারি হয় সেলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারি চিন্তা ভাবনায় ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে প্রণীত আইনের মাধ্যমে আদমশুমারি ও জনগণনার নাম পরিবর্তন করে জনশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জনশুমারির মাধ্যমে জনসংখ্যার সঠিক হিসাব, আর্থ-সামাজিক জনমিতি ও শিক্ষাসমূহ বিস্তৃত পরিসরে পরিসংখ্যান সরবরাহের পাশাপাশি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ, জাতীয় সম্পদের সুসম বন্টন নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এমনকি দেশের প্রতিদিনের সংখ্যাও আমরা জানতে পারবো। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী উন্নয়নের রোড ম্যাপ প্রস্তুত করা হবে। টেকসই উন্নয়নের অর্জনসমূহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বিভিন্ন রূপকল্প পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, এসডিজি প্রভৃতি নির্ধারিত অভীষ্ঠ অর্জনে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনশুমারি কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সাময়িকভাবে নিয়োগকৃত প্রায় সাড়ে চার লাখ গণনাকারী, সুপারভাইজার থাকবেন। এরা স্থানীয় শিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলা এবং বিবিএসের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। উপজেলা আইসিটি সাপোর্টং টিমও শুমারি কর্মীদের সার্বক্ষণিক ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাবে। বিবিএসের মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত ৮ স্তরের শক্তিশালী টিমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা হবে। এলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী ৭ জুন রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী খামসম্বলিত স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করবেন। আগামী ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এছাড়াও বহুল প্রচারিত ইলেকট্রনিক, ও প্রিন্ট মিডিয়া নিয়মিত বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি আগামী ১৫ জুন জনশুমারি বিষয়ে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

বিবৃতিতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের সাধারণ জনগণকে শুমারিতে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে করতে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপরা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও সব সংসদ সদস্যকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সার্বিক সহায়তা চেয়ে উপানুষ্ঠানিক পত্র পাঠিয়েছি। এই মহান সংসদে আমি পুনরায় আমার এ সহযোগিতার আবেনদন পুনর্ব্যক্ত করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২/আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা,
এসকে/আরআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।