ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবে সংসদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবে সংসদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: পদ্মা সেতু নির্মাণ ও দেশের বৃহৎ এ অবকাঠামোর উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুধবার (০৮ জুন) ধন্যবাদ জানাবে জাতীয় সংসদ।

নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণের এই অর্জন ও কৃতিত্বের একমাত্র দাবিদার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে বুধবার বিকেলে একটি সাধারণ প্রস্তাব সংসদে তোলা হচ্ছে।

জাতীয় সংসদের বুধবারের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিকেলে শুরু যাওয়া এ অধিবেশনে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ১৪৭ বিধির এ সাধারণ সংসদে তুলবেন। ওই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে তা সংসদ গ্রহণ করবে।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে , সংসদের অভিমত এই যে, আগামী ২৫ জুন, ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু কাঙ্ক্ষিত সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন।  
এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার তিন কোটির অধিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। চার লেনের হাইওয়ে এবং এক লেনের রেললাইন সম্বলিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু আজ পরম বাস্তবতা। বাঙালির অহংকার, আত্মপ্রত্যয়, সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই অর্জন ও কৃতিত্বের দাবিদার একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শত প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি, বিশ্ব ব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা ছিলেন তাঁর পিতার মতো আপোষহীন, অটল ও অবিচল। কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনা সেদিন মাথা নত করেননি। ২০১২ সালের ৮ জুলাই এই মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই হবে। বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। সে সময়ে কিছু অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞগণ বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেল সংযোগের কারণে প্রথমবারের মতো সমগ্র দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোর আওতায় চলে আসবে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে দেশের জিডিপি বাড়বে প্রতি বছর অন্তত ১.২৩ শতাংশ। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চালিত হবে এবং এর ফলে দক্ষিণাঞ্চল আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি।

সকল প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের অতুলনীয় নিদর্শন। পদ্মা সেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আজ এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। জাতির পিতা শেখ মুজিব বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সংগ্রাম করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ সেই অর্থনৈতিক মুক্তির এক অনন্য সোপান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা এবং জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হোক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
এসকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।