ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কৌশল বদলালেও জঙ্গিদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আগের মতোই রয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
কৌশল বদলালেও জঙ্গিদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আগের মতোই রয়েছে বক্তব্য রাখছেন সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান -বাংলানিউজ

ঢাকা: জঙ্গিবাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আগের মতোই রয়ে গেছে, তবে আগে যে কৌশল ছিল তা বদলেছে, ভিন্নভাবে এখন হচ্ছে। সন্তানরা কে, কী করছে তা দেখা অভিভাবকদের দায়িত্ব।

উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ আসলে কী, এর নেপথ্যের অনুঘটক কারা, তাদের খুঁজে বের করে স্পষ্ট করার দায়িত্ব গণমাধ্যমের।

রোববার (১২ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত  দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষতা সাধনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সিটিটিসির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় নিহত নিবরাস কীভাবে রেডিকালাইজড হলো! কোন প্রেক্ষাপটে, কোন প্রক্রিয়ায় জঙ্গি হলো! সাংবাদিকদের পাশাপাশি জঙ্গিবাদ নিয়ে যারা বিশ্লেষণ করেন, তারাও এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারেন। যারা রেডিকালাইজড হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন, তাদের অবস্থাটা কেমন হয়েছিল, একদিনেই তারা বদলে যায়নি। তারা দিনের পর দিন বদল এনেছে। রেডিকালাইজড হওয়া জঙ্গিদের পুরাতন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন! কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো! বাসা থেকে বের হয়ে বা হিজরতে কারা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, বের করুন। কী এমন স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছিল? শুধু খবর প্রচারই নয়, গণমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা নিতে হবে, যাতে জঙ্গিবাদ সমূলে নির্মূল করা যায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। বর্তমান এসবি প্রধান মনির স্যারের নেতৃত্বে সিটিটিসি পথ চলা শুরু। আজ সিটিটিসি বিশ্বের বিস্ময়। যেভাবে সিটিটিসি জঙ্গিবাদকে ভেঙে দিয়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মাইলফলক।

বাংলাদেশে সিটিটিসির অনবদ্য সফলতা আছে দাবি করে তিনি বলেন, গ্লোবাল টেরোরিজম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩ থেকে ৪০ এ নেমে এসেছে। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরে কিন্তু জঙ্গি হামলার মতো একটি ঘটনাও ঘটেনি। এর অবদান অবশ্যই সিটিটিসির, তথা পুলিশের।

নীরবতা নাকি নিয়ন্ত্রণ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৬ সাল পর্যন্ত অনেক ঘটনা ঘটেছে। এরপর যা ঘটেছে তা জঙ্গি আস্তানায় আক্রমণ। আমরা সব জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছি, অনেক কেস স্টাডি করেছি। আস্তানা যদি গুঁড়িয়ে দেওয়া না যেত তাহলে আরও বড় বড় ঘটনা ঘটতে পারতো। এটা সিটিটিসির সফলতা।

জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখার বড় ভূমিকা রয়েছে গণমাধ্যমের। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। মিডিয়াকর্মী থেকে অনেক ছোট ইনফো নিয়েও আমরা বড় সফলতা পেয়েছি। আমাদের গবেষণা কর্ম চলমান। আরও বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। জঙ্গিবাদের ইতিহাস, জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি, কার, কী ভূমিকা ছিল এর ৩৪টি গবেষণা আমরা শেষ করেছি। এসব গবেষণা মিডিয়া কর্মীদের অনেক বেশি কাজে দেবে।

কর্মশালা শেষে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) অংশগ্রহণকারী সদস্যদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।