ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় প্যারাবন কেটে বাঁকখালী নদী দখল করে গড়ে তোলা সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। রোববার (১২ জুন) জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সিদ্ধান্তের পরই বিকেলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ওইসব স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সহকারী কমিশনার (ভুমি) বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে সেখানকার স্থাপনাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা তৈরি বন্ধে মাইকিং করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, দুই মাস আগেও সেখানে ঘন প্যারাবন ছিল। কিন্তু কেউ কেউ মালিকানাধীন জমি বলে দাবি করছেন, তাই জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শনিবার (১১ জুন) ‘বাঁকখালী নদী দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা’ শিরোনামে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে সংবাদ প্রচারিত হয়। এরপরই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন।

এর আগে শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে কক্সবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. জিল্লুর রহমান অভিযান চালিয়ে তিন শ্রমিককে আটক করে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।  

কক্সবাজার শহরের পার্শ্ববর্তী খুরুশকুলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য কস্তুরাঘাট পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর উপর ৫ দশমিক ৯৫ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সেতুটি নির্মিত হলে খুরুশকুল ও বৃহত্তর ঈদগাঁও অঞ্চলের সঙ্গে শহরের বিকল্প সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে। কিন্তু সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রভাবশালীরা সেতুর আশপাশ দখলে মেতে উঠেছে। প্রভাবশালীরা ইতোমধ্যে প্যারাবনের গাছপালা কেটে, নদী থেকে বালু তুলে তীরের বিস্তীর্ণ জলাভূমি ভরাট করে প্লট তৈরি করে সেখানে একের পর এক  স্থাপনা নির্মাণ করছে। এসব দখল-বেদখলের ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর দখলদারদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। তারপরও থেমে নেই দখল তৎপরতা।

সর্বশেষ শনিবার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মারুফের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বাধা সৃষ্টি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি), সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু গভীর রাতে আবারও সেখানে দখল প্রক্রিয়া শুরু করে প্রভাবশালীরা।

তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান দাবি করেন, এটি তাদের খতিয়ানভুক্ত জমি। ২০২১ সালে কেনা ৭ শতক জমি তার নামে খতিয়ানও আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
এসবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।