ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তিন দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যে সড়কে

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
তিন দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যে সড়কে হোসেনাবাদ-জঙ্গলবাড়ির অবহেলিত জনপদ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: দেশজুড়ে বিভিন্ন জনপদ সমৃদ্ধ হয়েছে উন্নয়নের জোয়ারে। বিভিন্ন খাতে চলছে জনবান্ধব সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের গতিধারা।

বিশেষ করে যোগাযোগ খাতে উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। শহর থেকে গ্রাম। এমনকি শ্রীমঙ্গল উপজেলার পাহাড়ি জনপদের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে হয়েছে বহুমুখী উন্নয়ন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট ও আশিদ্রোন ইউনিয়নের কালীঘাট হয়ে হোসেনাবাদ-জঙ্গলবাড়ি যাওয়ার রাস্তাটিতে তিন দশকেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এলাকাবাসী বঞ্চিতই রয়ে গেছেন এর থেকে।

স্থানীয়রা জানান, সর্বশেষ ১৯৯০ সালে এই রাস্তাটি ইটসলিং করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ইট সোলিং অবস্থায় রাস্তাটি পড়ে আছে। এখনো পাকা করা হয়নি।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার অনেকাংশে ইট সোলিং উঠে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় রয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। রাস্তাটির সঙ্গে সংযোগ রয়েছে বিলাসছড়া চা বাগান, নন্দরানী চা বাগান, হোসেনাবাদ চা বাগান, জঙ্গলবাড়ি চা বাগান, হারপা ছড়া ত্রিপুরা পল্লী, হোসেনাবাদ ১২ নম্বর খাসিয়া পুঞ্জি, ৬ নম্বর খাসিয়া পুঞ্জি, নতুন খাসিয়া পুঞ্জি, এমনকি এই রাস্তার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগান, ধলই চা বাগানসহ কমলগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা।

হোসেনাবাদ চা বাগানের স্টাফ লিটন আহমেদ জানান, এ রাস্তাটি পাকা করার দাবি দীর্ঘদিন থেকে করে আসছি। শ্রীমঙ্গল উপজেলার সব জায়গায় পাকা রাস্তা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এ রাস্তাটি ইট সোলিং অবস্থায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাকা করা হয়নি।

হোসেনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিটু আহমেদ বলেন, এ রাস্তাটি দিয়ে এসব এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার লোক চলাচল করেন। বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় এ অঞ্চলের মানুষদের।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় (এলজিইডি) এর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, এই মুহূর্তে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য কোনো প্রকল্প বরাদ্দ হয়নি। সড়কটি পাকাকরণে ব্যাপারে প্রস্তাবনা পাঠাবো। তবে রাস্তাটি সংস্কার করে দেব।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
বিবিবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।