ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট 

নাসিরাবাদ কলেজ অধ্যক্ষের নামে যুবলীগ নেতার মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
নাসিরাবাদ কলেজ অধ্যক্ষের নামে যুবলীগ নেতার মামলা অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আহমেদ শফিক ও বাদী আখেরুল ইমাম সোহাগ

ময়মনসিংহ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী নাসিরাবাদ কলেজের অধ্যক্ষ আহমেদ শফিককে একমাত্র আসামি করে সাইবার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।  

বুধবার (৮ মে) দুপুরে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) আখেরুল ইমাম সোহাগ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের বিচারক মুহা. বজলুর রহমান বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সেকান্দর আলী বাদীর পক্ষে আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেন। মামলা নম্বর-৫১/২০২৪।

মামলার অভিযোগে বাদী দাবি করেন, অধ্যক্ষ আহমেদ শফিক বিভিন্ন সময়ে তার ফেসবুকে মানহানিকর ও হুমকিজনক পোস্ট দিয়ে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এতে আমার মান সম্মানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।  

এদিকে গত ৬ মে অধ্যক্ষ আহমেদ শফিক ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে একটি পোস্ট দিয়ে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। এতে যুবলীগ নেতা আখেরুল ইমাম সোহাগকে দায়ী করে তিনি আরও লিখেন, গত ৩০ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে আখেরুল ইমাম সোহাগের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী নাসিরাবাদ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সোহাগসহ পাঁচজন অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে ‘গুলি কইরা মাইরা ফালামু’ বলে আমাকে হুমকি দেয়। (এ ধরনের হুমকি ২০১৮ সালেও সে আমাকে দিয়েছিল)। সেই থেকে আমি আমার জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি এবং বড় বেশি অসহায়ত্ব নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করছি, বলেও তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল অধ্যক্ষ আহমেদ শফিক কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলেও জানান তিনি।  

তবে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আহমেদ শফিক বাংলানিউজকে বলেন, মামলার বিষয়ে এইমাত্র আপনার (প্রতিবেদক) কাছ থেকে শুনলাম। তবে আমার পোস্টটি ছিল ক্ষোভ প্রকাশ। এখানে কোনো হুমকির বিষয় ছিল না। সে (আখেরুল ইসলাম সোহাগ) আমার ছাত্র, আমি তাকে হুমকি দিতে পারি না।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।