ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বিগ্ন: প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বিগ্ন: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: তিস্তা চুক্তি নিয়ে নিজেদের উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, চুক্তিটি আমরা করতে চাই।

ধীরগতিতে হলেও কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কারণে এটি স্লো হয়ে গেছে। আমরা হয়তো অচিরেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ব্যাপারটি সমাধান করতে পারব।

সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

তিস্তা চুক্তির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ ফারুক বলেন, এটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-আমরা আগে চেষ্টা করেছিলাম। কাজটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আছে। এটার স্টাডি হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। কোন কোম্পানি কাজটা করবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যালোচনা করছে। পর্যালোচনার পর একটা দিক-নির্দেশনা দিলে সেই বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি আরও বলেন, দুবছর আগে আমি যখন হাঙ্গেরি গিয়েছিলাম তখন ভারতের জনশক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। আসার পর আমি তাকে কয়েকবার পত্র দিয়েছি। আমি তাকে বাংলাদেশে আসার জন্য দাওয়াতও দিয়েছি। আমি বলেছি, আসেন আমরা আলোচনা করি। উনি হয়তো একটা সময় দেখে আসবেন।

সুনামগঞ্জের হাওর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকে সুনামগঞ্জের বিষয়ে আমার নজর রয়েছে। সেখানে আমরা এক হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছি। সেখানে আমরা ১৪টা নদী খনন করব। সমীক্ষা সেপ্টেম্বর মাসে চলে আসবে, অক্টোবরের মধ্যে চেষ্টা করব একনেক থেকে সেটা পাস করিয়ে নেব। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। বর্ষার আগে আমরা যদি ২০ শতাংশ কাজও করতে পারি, আমরা আশা করি সুনামগঞ্জের হাওর তেমন কোনো ক্ষতি আর হবে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক একজন ঠিকাদার ৫০ থেকে ৭০টি কাজ নিয়ে বসে আছেন। সে কাজগুলো তারা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারছে না। এই ঠিকাদাররা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত- এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমে ১১ জন ঠিকাদার ছিল। অনেক বড় বড় ঠিকাদার ছিল। এক একজন ডিপিএমে (সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার কাজ পেতো। আমরা একটি কাজও ডিপিএমে দেইনি। আমরা বলেছি এই ১১ জন ঠিকাদার কাজ শেষ না করা পর্যন্ত নতুন করে কোনো কাজ পাবে না। কাজগুলো শেষ করার পর সেই পুরনো ১১ জনকে এখন আমরা কাজ দিচ্ছি। এখন নির্দেশনা হচ্ছে একজন ঠিকাদার তিনটির বেশি কাজ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৩,২০২২
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।