ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ জুন ২০২৪, ১৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

দন্তচিকিৎসক বুলবুল হত্যায় আরো একজন গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
দন্তচিকিৎসক বুলবুল হত্যায় আরো একজন গ্রেফতার আহমেদ মাহী বুলবুল

ঢাকা: রাজধানীর কাজীপাড়ায় দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. রিপন (৩০) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতার রিপনও ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বুলবুলের উরুতে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

এ ঘটনায় ইতোপূর্বে গ্রেফতার চারজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিপনের নাম এসেছিল।

বুধবার (১৫ জুন) ঝালকাঠির নলছিটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশীদ বলেন, এ হত্যার ঘটনায় আগে গ্রেফতার ব্যক্তিদের জবানবন্দিতে রিপনের নাম আসে। এ তথ্যের ভিত্তিতে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, রিপন ছিনতাইকারী দলটির নেতা। দন্তচিকিৎসক বুলবুলের সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে পাঁচজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। রিপনও ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে আঘাত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

বুলবুলকে হত্যার পর রিপন নলছিটিতে তার গ্রামের বাড়ির এলাকায় পালিয়ে ছিলেন বলেও জানান তিনি।

গত ২৭ মার্চ ভোরে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় ছিনতাইকারীদের হাতে দন্তচিকিৎসক বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় গত ৩০ মার্চ চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি।

গ্রেফতাররা হলেন- আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয় (৩৯), সোলায়মান (২৩), রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল (২৭) ও রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫)।

আদালতে দেওয়া তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী, তারা পাঁচজন গত ২৬ মার্চ দিনগত রাত ২টা থেকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বুলবুল যখন রিকশায় করে পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচারের সামনে আসেন, তখন তারা তার গতিরোধ করেন। এ সময় দলনেতা রিপনসহ অন্যরা বুলবুলের কাছে যা আছে, তা দিয়ে দিতে বলেন। বুলবুল দিতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে বুলবুলকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করেন রিপন।

বুলবুল আহমেদ (৩৯) পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তিনি গত ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার জন্য রিকশাযোগে রওয়ানা হন। এ সময় ছিনতাইকারীরা রিকশার গতিরোধ করে ভিকটিমের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এতে ভিকটিম বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা ভিকটিমের উরুতে ছুরিকাঘাত করেন। পরে বিহঙ্গ বাসের চালক ও হেলপারের সহযোগিতায় ভিকটিমকে প্রথমে স্থানীয় আল-হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।