ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিস্তায় হুহু করে বাড়ছে পানি, নীলফামারীতে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
তিস্তায় হুহু করে বাড়ছে পানি, নীলফামারীতে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

নীলফামারী: দো-মহনী থেকে মেখলিগঞ্জ, তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশে জারি হয়েছে লাল সংকেত। সেখানে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের নীলফামারীর তিস্তা নদীতে।

এদিকে ডালিয়া পয়েন্টে হুহু করে পানি বাড়ছে।   শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে ৫২.৫৫ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিপৎসীমা ৫২.৬০ পৌঁছে যায়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চর বা গ্রামের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি শনিবার) বিকেল থেকে হু-হু করে বাড়ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী কর্মকর্তা আসাফ-উদ-দৌলা।

সূত্র মতে ডালিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২.৬০) ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছিল।

তবে, বিকেলে পুনরায় উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে হু-হু করে পানি বাড়তে থাকায় মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এর আগে ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এতে ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছেন। এখন পুনরায় ঢল নামলে তিস্তা নদী অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সেখানে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

এদিকে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকাররি উদ্যোগে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ১৭ জুন, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।