ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: শিল্পমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশে উৎপাদনশীলতার প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এটিকে ৫ দশমকি ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

রোববার (১৯ জুন) জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদের (এনপিসি) ১৮তম সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনপিসির সহ-সভাপতি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অন্যান্য সদস্যরা সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর মহাপরিচালক মুহম্মদ মেজবাহুল আলম সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।  

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এর সহায়তায় বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল প্রোডাটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) প্রণীত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি মাস্টার প্ল্যান ২০২১-২০৩০’ বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রোডাক্টিভিটির প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এটিকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা বিষয়ে প্রচার প্রচারণা দরকার। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী সভা, সেমিনার, কর্মশালা আয়োজন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টিভিসি প্রচার এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়টি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা কারিকুলামে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক আধেয় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য শ্রমিকবান্ধব শিল্প পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কর্মপরিবেশ উন্নত করতে হবে এবং কর্মচারী/শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়লে মালিক, শ্রমিক সবাই লাভবান হবেন।  

সভায় ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এবং ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে সরকারি সুযোগ সুবিধা বাড়ানো, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভি অর্গানাইজেশনের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, শিল্প, সেবা, কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা লেভেল নির্ধারণ, উৎপাদনশীলতা বিষয়ক আইনের খসড়া প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।