ঢাকা: আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিএনপি টেনে নামাতে চায়। কিন্তু তারা যত টানবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা তত বাড়বে।
রোববার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আশা ব্যক্ত করেন সেলিম। অধিবেশন পরিচালনা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় সংসদে শেখ সেলিম বলেন, ওরা (বিএনপি) বলে আওয়ামী লীগকে টেনে নামাবে। আওয়ামী লীগের টানা আরম্ভ করছে ২০০৯ সাল থেকে। তোরা যত টানবি আমাদের ক্ষমতা ততো বাড়বে। আজকে ২২ সালে আইছি আর একবার টান দিলে একবারে ৫০ সালে চইলে যাবো। আমরা ৫০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবো। ওরা থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। শ্রীলঙ্কা হলেই তো ওরা খুশি হয়। পাকিস্তান বানাবি? বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে! বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি খুব মজবুত। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ, পাকিস্তান, ভারত দক্ষিণ এশিয়া সব দেশের চেয়ে আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হবে, মালয়েশিয়া হবে সুইজারল্যান্ড হবে। যে ধারায় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে পরিচালিত করছেন এবং উন্নয়নের যে ধারা অব্যাহত রেখেছে সেই ধারায় বাংলাদেশ হবে সুইজারল্যান্ড।
আ. লীগ সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র আইনের শাসন মানবাধিকারের কথা বলে। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ শিশু-নারীকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ, জেল হত্যার বিচার বন্ধ করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করছে সাড়ে ২২ হাজার যুদ্ধাপরাধী যারা জেলে ছিল, তাদের বিচার হচ্ছিল। সেই ২২ হাজার ৫০০ যুদ্ধাপরাধীকে জিয়াউর রহমান মুক্ত করে সাধারণ ক্ষমা করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়েছিল নিজেকে রক্ষা করার জন্য।
জিয়াউর রহমান সংবিধান স্থগিত করে সামরিক অধ্যাদেশ ফর্মান দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্র? কিসের গণতন্ত্র? সামরিক গণতন্ত্র? এই দেশে আর কোনোদিন সামরিক জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপি বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেশের জনগণের ইজ্জত নষ্ট করে আর বিদেশিদের কাছে ধর্না ধরে। বিদেশিরা বাংলাদেশের কোনো কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশের ভাগ্য বাংলাদেশের জনগণই নিয়ন্ত্রণ করবে, কোন বিদেশি নিয়ন্ত্রণ করবে না।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম আরও বলেন, ওরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জাতীয় সরকারের কথা বলে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশে যেমন সংবিধান অনুসারে হয়- বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। আর কোনো দিন জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ না ভোট হবে না।
আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনও আর হবে না। ইয়াজ উদ্দিন মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকারও আর হবে না। ওরা কি না করতে পারে? ওরা একদিন বললো এক নম্বর নারী মুক্তিযোদ্ধা খালেদা জিয়া। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে কর্নেল জানজুয়ার সঙ্গে ছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা রফিক সাহেব আছেন। সেইখানে খালেদা জিয়ার ৯ মাস জেল খাটলো- সে হলো নারী মুক্তিযোদ্ধা! ৯৩ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার কথা ছিল, জানজুয়া তারমধ্যে একজন। জানজুয়া যখন মারা যায় খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী। সেই জানজুয়ার জন্য সমস্ত কূটনৈতিক নীতি নৈতিকতা বর্হিভুত হয়ে শোক প্রস্তাব পাঠায়, এটি বিএনপির চরত্রি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এসকে/এমজে