ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৫ দিন ধরে তীব্র গ্যাস সংকটে রূপগঞ্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
৫ দিন ধরে তীব্র গ্যাস সংকটে রূপগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তির প্রাশাপাশি ও শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

তাই বাধ্য হয়ে আবাসিক গ্রাহকদের মাটির তৈরি চুলা ও গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করতে হচ্ছে।

অনেকে আবার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে আনছেন। সপ্তাহজুড়েই উপজেলায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  

জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার তিতাস গ্যাসের প্রায় ৭ হাজার বৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এছাড়া এ উপজেলায় এনজেড টেক্সটাইল, অনুপম হোসিয়ারি, রবিনটেক্সসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার শিল্প কারখানা রয়েছে। যার মাঝে প্রায় শতাধিক কারখানায় পণ্য উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার হয়ে থাকে।

শুক্রবার ১৬ জুন থেকে উপজেলার রূপসী, বরপা, তারাব, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন, শান্তিনগর, কাজীপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, মৈকুলী, মুড়াপাড়া, আমলাবোসহ পুরো উপজেলার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।  
অধিকাংশ এলাকায় কখনো গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বলছে, কখনো জ্বলছে না। আবার কখনো জ্বলছে নিভু নিভু করে। এতে গৃহিণীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে গ্যাস না থাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস না থাকায় অনেক শিল্প কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের আগেই ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে কারখানা মালিকদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েতে হচ্ছে।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫ দিন ধরে গ্যাস না থাকায় কেউ টিন কেটে চুলা বানিয়ে তাতে লাকড়ি দিয়ে, কেউবা আবার মাটির চুলায় কষ্ট করে রান্না-বান্নার কাজ শেষ করছেন। মাটির চুলায় রান্না করে অনেকেরই আবার কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পরে। কিছু এলাকায় সকালে নিভু-নিভু গ্যাস থাকলেও তাতে হাড়িও গরম হয় না বলে জানান গৃহিণীরা।  

উপজেলার শিল্প কারখানা মালিকরা জানান, গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে আমরা উৎপাদন করতে পারছি না। উৎপাদন না হলে শ্রমিকদের বেতন দেব কোথা থেকে। শুনেছি কোথায় যেন গ্যাস লিকেজের কাজ চলছে। তিতাস কর্তৃপক্ষকে দ্রুত গ্যাস লিকেজ মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত গ্যাস সংকট না কাটলে আমাদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হবে।  

কথা হয় রেস্তরোয়ায় খাবার কিনতে আসা সাইদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, গ্যাস না থাকায় বাড়িতে রান্না হয়নি। তাই রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে নিয়ে যেতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাহ-উর রহমান মুঠোফোনে বলেন, গত শুক্রবার আদমজী ইপিজেডের ভেতরে পাইলিং করার সময় গ্যাস পাইপ ফেটে যাওয়ার ঘটনায় মেরামত কাজ চলছে। সেখানে কাজ করার সময় ৪০ ফিট নিচে ২৪০ টন ওজনের পাইলিং রিগ দেবে যায়। যার জন্য মেরামত কাজে সময় বেশি লাগছে। আশা করি দুই দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২ 
এমআরপি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।