ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জয়পুরহাটে মসজিদের ইমাম হত্যার রহস্য উদঘাটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
জয়পুরহাটে মসজিদের ইমাম হত্যার রহস্য উদঘাটন

বগুড়া: জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলায় মসজিদের ইমাম হত্যায় জড়িত শাহিনুর রহমান শাহীন (৩৩) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।



গ্রেফতার শাহিনুর রহমান শাহীন (৩৩) নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার চাকরাইল গ্রামের নঈম উদ্দিনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মহসীন আলী (২৬) জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বেলগাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন জানান, এক বছর আগে শাহীনের সঙ্গে তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা শাকিলার সংসার ভেঙে যায়। তাদের ১২ বছরের সংসার জীবনে একটি কন্যাসন্তান ছিল। সেই সন্তান শাহীনের কাছে থাকে। ওয়াসিফা নামের সেই কন্যা স্থানীয় বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তালাকের পর গত চার মাস আগে শাকিলা মসজিদের ইমাম মহসীনকে বিয়ে করেন। শাহীনের ধারণা মহসীনের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে তাদের দীর্ঘদিনের সংসার ভেঙে যায়।

এদিকে তার সন্তান ওয়াসিফার উপবৃত্তির জন্য মায়ের জন্মনিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হলে সেটি চেয়েও ব্যর্থ হন শাহীন। এ কারণে পরিচয় গোপন করে তিনি মহসীনের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে সখ্যতা গড়ে তোলেন।

তিনি জানান, আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে শাহীন উল্লেখ করেন- গত ৭ জুন সন্ধ্যায় শাহীনুর মোবাইলফোনে কালাই উপজেলার মোলামগাড়ি বাজারে মহসীনের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দুইজনে চা পান করেন এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহসীনকে নিয়ে মোলামগাড়ি বাজার থেকে করিমপুরগামী রাস্তায় যান। রাস্তার ফাঁকা জায়গায় পৌঁছে তিনি মহসীনকে নিজের পরিচয় দেন এবং তার স্ত্রী শাকিলাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছে বলে দোষারোপ করেন। একপর্যায়ে তিনি ওয়াসিফার উপবৃত্তির জন্য শাকিলার জন্মনিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে বলেন। মহসীন এতে অপারগতা প্রকাশ করলে শাহীন ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে লোহার পাত দিয়ে মহসীনের মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যান। পরের দিন কালাই থানা পুলিশ ইমাম মহসীনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং নিহতের বাবা পরে মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে মঙ্গলবার (২১ জুন) গাজীপুর জেলার গাছা থানা এলাকার ছয়দানা হাজিরপুকুর এলাকা থেকে শাহীনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ