ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাজারীবাগে বৃদ্ধার হাত-পা-মুখ বাঁধা মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
হাজারীবাগে বৃদ্ধার হাত-পা-মুখ বাঁধা মরদেহ

ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগে একটি বাসা থেকে কসটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় আকলিমা আক্তার নিলুফা (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় আরও দুজনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এরা হলেন- শামীমা বেগম (৪৯) ও তার ভাই বশিরুল হক (৪৮)।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে হাজারীবাগ মনেশ্বর লেন ৩/৪ নম্বর বাসা থেকে অসুস্থ ওই দুজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ও ওই বৃদ্ধার মরদেহ ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়।

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বাসার ভেতরে কসটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের ওই বাসার আলমারি ভেঙে ৪০ হাজার টাকা খোয়া গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।  

ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

অসুস্থ শামীমার ভাতিজি জেসমিন হক বলেন, মনেশ্বর লেনে আমাদের নিজেদের বাড়ি। সেখানে সবাই থাকেন। দাদি নিলু সূত্রাপুরে থাকেন। ছয়দিন আগে হাজারীবাগের বাসায় বেড়াতে আসেন। বুধবার (২২ জুন) রাতে বাছিরুল, শামীমা ও দাদি নিলু পাশে আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে পুরি, জুস ও ফান্টা খান। রাত ১২টার দিকে বাসায় আসেন। কিছুক্ষণ পর বাছিরুল অসুস্থ হয়ে পড়েন ও বমি করতে থাকেন। পরে পাশের ফার্মেসি থেকে লোক ডেকে এনে চিকিৎসা করান। হাত-পায়ে তেল মালিশ করেন।

তিনি বলেন, রাত ৩টার দিকে তাদের দ্বিতীয় তলায় রেখে আমি তৃতীয় তলায় যাই। এ সময় ভেতর থেকে দাদি দরজা বন্ধ করে দেন। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দরজায় নক করে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে দরজা খোলার শব্দ পেয়ে দ্রুত নিচে নামি। ভেতরে ঢুকে দেখি চাচা বাছিরুল দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ঢুলছেন। আর ফুফু শামীমা বমি করতেছেন। আরেকটি কক্ষের মেঝেতে দাদিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় তার হাত-পা-মুখে কসটেপ লাগানো ছিল। আলমারির দরজা ভাঙা ছিল। ফুফু শামীমার ৪০ হাজার টাকাও পাওয়া যায়নি।  

জেসমিন বলেন, তখন আশপাশে থাকা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ ঘরের মধ্যে ঢুকেছিল চুরি করার জন্য। দাদি দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এজেডএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ