ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে চুরি করতেন তারা

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে চুরি করতেন তারা

নীলফামারী: অভিনব কৌশলে চুরির একটি সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধানসহ ছয় জনকে আটক করেছে নীলফামারীর জলঢাকা পুলিশ। চক্রটি নির্দিষ্ট পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে বাড়ির সদস্যদের অচেতন করে দেদারছে চুরি করতো।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা দুইটি মোটরসাইকেল ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- চক্রের প্রধান ফজল আলী ওরফে চোর চেয়ারম্যান ফজল (৩৯), তার সহযোগী আল-আমিন (২৬), মঈন হাসান ওরফে শিউল (২৮), ডাবলু মিয়া (৪৫), মো. সোহাগ (২০) ও হাসান আলী (১৯)।

পুলিশ জানায়, জলঢাকা উপজেলার কিসামত বটতলা গ্রামের নুরন্নবীর বাড়িতে গত ১৪ জুন গভীর রাতে একই কায়দায় একটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণের এক জোড়া হাতের বালা ও এক জোড়া কানের দুল চুরি হয়। এরই সূত্র ধরে ঘটনার তদন্তে মাঠে নামে পুলিশের একটি দল। পরে গত ২৪ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

জলঢাকা থানার পরিদর্শক ফিরোজ কবির বাংলানিউজকে জানান, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে জলঢাকাসহ নীলফামারী জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলায় অভিনব কায়দায় চুরি করে আসছিল।

নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, চোরেরা বাড়ির টিউবওয়েল এবং পানির ট্যাংকের ভেতরে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দিতো। পরে ওই টিউবওয়েল বা ট্যাঙ্কের পানি পান করে বাড়ির সদস্যরা অচেতন হয়ে পড়লে তারা ঘরে ঢুকে চুরি করতো বলে আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।