লক্ষ্মীপুর: ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটে ভোলা ও বরিশালগামী যাত্রীরা ভিড় করেছেন। গত কয়কদিন থেকেই এ ঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পারাপারের নামে তারা যাত্রী তুলছেন। যদিও এ সময়টাতে মেঘনা নদীতে ট্রলার এবং স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার একেবারে নিষিদ্ধ। এরপরেও ভোলা-বরিশালগামী যাত্রীরা এসব নৌযানে করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ছুটছেন।
জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে ডেঞ্জার জোন থাকায় সি-ট্রাক ও ফেরি ছাড়া ছোট আকারের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা মানছেন না লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাটের স্পিডবোট ও ট্রলার মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী হাট লঞ্চঘাটে গেলে চোখে পড়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপারের দৃশ্য। অতিরিক্ত ভাড়া আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন অসংখ্য যাত্রী। মজুচৌধুরীহাট থেকে নৌপথে ট্রলারে জনপ্রতি ৫০০ টাকা আর স্পিডবোটে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে যাত্রী পারাপার করছেন একটি অসাধু চক্র।
মজুচৌধুরী হাট ঘাটের কোস্টগার্ডের দায়িত্বরত মো. আকাশ নামে এক সদস্য বলেন, সরকারিভাবে নিষেধ রয়েছে ট্রলার ও স্পিডবোটে কোনো ভাবেই যাত্রী পারাপার করা যাবে না। তবুও একটি চক্র আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাত্রী পার করছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এসআরএস