ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কমায় ঈদের আনন্দ দেখা গেছে: প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কমায় ঈদের আনন্দ দেখা গেছে: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কমায় কিছুটা ঈদের আনন্দ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যায় জনগণ অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পার করেছেন।

তবুও বন্যার পানি কমে যাওয়ায় কিছুটা ঈদের আনন্দ দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বানভাসি মানুষদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় পাশে থাকব। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এটি কম্পাইল করছি। সংবাদ সম্মেলন করে কোন জায়গায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি জানাতে পারব। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে একটি তড়িৎ উদ্যোগ নেব। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য, চাল, টিন, গৃহনির্মাণ সামগ্রী রয়েছে।  

তিনি বলেন, বানভাসি মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য আমরা পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দিয়েছি। নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে আমরা নগদ ২ কোটি টাকা দিয়েছি, ১ হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছি, চার হাজার বান্ডেল টিন দিয়েছি, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ মজুরি বাবদ দিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, অতিরিক্ত কিছু লাগলে সেটি চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দেন। সিলেট-সুনামগঞ্জে যখন বন্যা চলছিল আমাদের জিআর নগদ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল, আমরা ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম তিনি পর দিন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার ৫০০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জে। আরেক দফায় তিনি এ অর্থ বরাদ্দ দেবেন।  

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে এনামুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টগুলো এসেছে। এগুলো কম্পাইল না করে সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে না। ত্রাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, নগদ অর্থ আছে, কাপড়, টিনসহ সবকিছুই আছে। যে পরিমাণ প্রয়োজন হবে সে পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সক্ষমতা আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।