ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নদী-খাল দূষিত হওয়ায় মাছ উৎপাদন কমে গেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
নদী-খাল দূষিত হওয়ায় মাছ উৎপাদন কমে গেছে

নারায়ণগঞ্জ: ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও পালিত হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২।

শনিবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়ায় কর্মসূচি চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত।

সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সস্তাপুর এলাকায় জেলা মৎস্য দপ্তরের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়েছে।

এতে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আয়নাল হক, সিনিয়র সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শাহরিয়ার সালমা প্রমুখ।

সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আয়নাল হক জানান, বিশ্বে চাষকৃত মাছে আমরা তৃতীয়। এছাড়া ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে আমরা প্রথম। তবে নারায়ণগঞ্জ শিল্পনগরী হওয়ার কারণে শিল্পবর্জ্যে নদী-নালা, খাল-বিল দূষিত হওয়ায় মাছ উৎপাদন কমে গেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য শিল্পের যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি মানুষের পুষ্টি বৃদ্ধিতে মাছেরও বিকল্প নেই। কিন্তু শিল্পবর্জ্যের কারণে নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে মাছ নেই।

খালগুলোতেও এখন মাছ পাওয়া যায় না। বর্ষা মৌসুমে কিছুটা মাছের দেখা মিললেও শিল্পবর্জ্যের কারণে বিষক্রিয়ার প্রভাব থেকেই যায়। বিভিন্ন শিল্প-কারখানার মালিকরা ইটিপি স্থাপন করলেও ইটিপি ঠিকমতো চালায় না। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি অন্তত ইটিপিকে যাতে চুনের ব্যবহারটা ঠিকমতো করে। কিন্তু কেউই ঠিকমতো চুনের ব্যবহার করে না। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ দূষণ রোধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জে ৩ সহস্রাধিক পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ে সবচেয়ে বেশি পুকুর রয়েছে। এছাড়া রূপগঞ্জ, বন্দর ও সদরেও মাছের চাষ হয়। তবে নারায়ণগঞ্জে যে পরিমাণ মাছের চাহিদা রয়েছে তাতে উৎপাদনকৃত মাছ থেকে ৫০ শতাংশ পূরণ হয়। অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জে মাছ উৎপাদনে ৫০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে।  

সিনিয়র সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শাহরিয়ার সালমা জানান, সাত দিনব্যাপী কর্মসূচিতে পোনা অবমুক্তকরণ ও মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে। নারায়ণগঞ্জে শিল্পবর্জ্যের কারণে যেমন নদী ও খালের পানিতে প্রভাব পড়ছে তেমনি বদ্ধ জলাশয়ে অর্থাৎ পুকুরে মাছ চাষ করা ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক রাতের মধ্যে লাখ লাখ টাকার মাছ মারা যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। বাজারে আমরা প্রায়ই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি। যদি কেউ বাজারে রং দেওয়া মাছ কিংবা বিক্রি নিষিদ্ধ মাছ যেমন পিরানহা মাছ বিক্রি করে তাহলে আমাদের তাৎক্ষণিক জানাবেন। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।  

সভায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, মাছের গুণগত মানের উৎপাদন বৃদ্ধি, মাছ চাষে স্বয়ং সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।