পাবনা: পাবনায় জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. সাইফুল ইসলাম মুন্নু (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
৮ জুলাই দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা নথিভুক্ত হলে হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলার অন্যান্য আসামি আদালত থেকে অগ্রিম জামিন নেন। বর্তমানে এ মামলার অন্যতম আসামি মো. প্রান্ত একজন জেল হাজতে আছেন। বাকিরা জামিনে আছেন।
আসামিরা হলেন-নূরপুর দক্ষিণ পাড়া মহল্লার মৃত মোজাম্মেল হকের মেয়ে মেছা. রেবেকা পারভীন (৩৩) ও ছেলে মো. রিয়াজুল (৩০), একই গ্রামের মো. একরাম হোসেনের ছেলে মো. শান্ত হোসেন (২৪) ও মো. প্রান্ত হোসেন (২২), একই মহল্লার মো. আরিফ ড্রাইভারের ছেলে মো. শান্ত (২২) ও মো. নিবিড় (২০), মো. নজরুল মিস্ত্রির ছেলে মো. রাব্বী (২২), নূর মোহম্মদ সাকনের ছেলে মো. রবিন (২৮), মো. রতনের ছেলে মো. শাওন (৩৩)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে নূরপুর এলাকার মৃত জুলমত আলীর ছেলে পৌর এলাকার লোহার ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম মুন্নু বাসা থেকে জুমার নামাজ পড়তে বের হন। পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপরে হামলা করেন। হামলাকারীরা তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও হাতুরি দিয়ে বেধরক মারপিট করেন। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন মুন্নি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার পরিবারের ছেলে মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওরা। আমার স্বামীকে মেরেছে আবার আমার ছোট ছেলে ও মেয়েকে মারার জন্য হুমকি দিচ্ছে, মামলা তুলে নিতে বলছে। নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে আছি আমরা। বাসায় তালা দিয়ে ঢাকায় স্বামীকে নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছি। ওরা জোরপূর্বক আমাদের বসত বাড়ির জমি দখল করে নিতে চায়। সমঝোতা করা সবাই ভালোভাবে বসবাস করছিলাম। বুঝতেই পারি নাই তারা আমাদের এত বড় ক্ষতি করবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম রাসেল কবির বলেন, এ হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। মামলা হয়েছে। আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। এ মামলার একজন আসামি শুধু জেল হাজতে আছেন। জমিজমা নিয়ে ঝামেলা, তারা সবাই একে অপরের আত্মীয় স্বজন। জমির ওয়ারিশানা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এরই জের ধরে তার ওপর হামলা হয়েছে। তবে জামিন নিয়ে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
এসআই