ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পটুয়াখালীতে প্রতি বছর দ্বিগুণ হচ্ছে পানিতে ডুবে মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
পটুয়াখালীতে প্রতি বছর দ্বিগুণ হচ্ছে পানিতে ডুবে মৃত্যু

পটুয়াখালী: সোমবার (২৫ জুলাই) আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস। ২০২০ সালের এপ্রিলে পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে জাতিসংঘ।

সেই থেকে বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে ‘নীরব মহামারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।

এদিকে পটুয়াখালীতে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা। গত তিন বছরে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে এ ধরনের মৃত্যু।

সরকারি হিসেব মতে ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে পটুয়াখালীতে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। এর মধ্যে কলাপাড়া উপজেলায়ই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।

জেলায় পানিতে ডুবে ২০২০ সালে ২৯ জন এবং ২০২১ সালে ৫৫জনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পানিতে ডুবে মারা গেছেন প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যটকরাও।

তবে, স্থানীয়রা বলছেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। সরকারিভাবে হাসপাতালে মৃত্যু ছাড়া তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। কিন্তু অনেক শিশু বাড়িতে মারা গেছে, তাদের হিসেব ধরা হয় না।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, একদিকে পারিবারিক ও সামাজিক অচেতনতা এবং অন্যদিকে সাঁতার না জানার কারণে এত মানুষ পানিতে ডুবে মারা করেছেন।

তিনি বলেন, সবাইকে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সাঁতার শেখানোর জন্য এলাকা ভিত্তিক উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।