ঢাকা: বিশ্বব্যাপী চলমান জ্বালানির সঙ্কটের মুহূর্তে জ্বালানি খাতে আন্তঃডি-৮ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডি-৮ পররাষ্ট্র মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা প্রথম ‘ডি-৮ মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং অন এনার্জি’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ড. মোমেন জানান, এবারের ডি-৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় ডি-৮ দেশসমূহের মধ্যে আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষত বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ এই ছয়টি খাতে আন্তঃডি-৮ সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়াদিতে আলোচনা করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ডি-৮ এর সভাপতি হিসেবে হাইব্রিড মাধ্যমে ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ২০ তম ডি-৮ পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সভা শুরু হয়। হাইব্রিড মাধ্যমে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় তুরস্ক ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ অন্যান্য ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
১০ম শীর্ষ সম্মেলনে ডি-৮ নেতাদের নেওয়া সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়নের অগ্রগতি ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় পর্যালোচনা করা হয়। সভায় ডি-৮ মহাসচিব আন্তঃডি-৮ সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়াদিতে বিগত বছরে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ডি-৮ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
টিআর/এসএ