ঝালকাঠি: মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ঝালকাঠির গাবখান সেতুর (পঞ্চম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু) ইজারাদার টোল আদায় করে যাচ্ছিল। আদালতের নির্দেশে অবশেষে এক বছর পর বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুর থেকে সেতুর টোল আদায় শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
ইজারাদার ইসলাম ব্রাদার্সের লোকজন টোল প্লাজা বুঝিয়ে দিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হাসানের কাছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ২০১৮ সালে সাত কোটি ২২ লাখ টাকা টেন্ডার মূল্যে তিন বছরের জন্য টোল আদায়ের দায়িত্ব পায় ইজারাদার ইসলাম ব্রাদার্স। ২০২১ সালের ৩০ জুন তাদের টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ হয়। করোনার কারণে যানবাহন কম চলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ইজারাদার ইসলাম ব্রাদার্সের মালিক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম তালুকদার ঝালকাঠির যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইজারাদারকেই টোল আদায়ের নির্দেশ দেন। প্রায় এক বছর আইনি লড়াই শেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আপিলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে গত ৬ জুলাই এ আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ফলে ২৭ জুলাই সড়ক ও জনপথ বিভাগকে টোল আদায়ের জন্য দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয় ইজারাদারকে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হাসান বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার দুপুর থেকে গাবখান সেতুর টোল আদায় শুরু করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা। যতদিন পর্যন্ত সেতু মন্ত্রণালয় থেকে টোল আদায়ের জন্য দরপত্র আহ্বান না করা হবে, ততদিন পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগই টোল আদায় করবে।
মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সের পক্ষে টিটু তালুকদার জানান, করোনা মহামারিতে লকডাউন থাকায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী টোল আদায় করেছি। এখন আবার আদালত স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করায় আমরাও আইন এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফুর্তভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এসআই