ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জমি দখলে নিয়ে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন সন্তানরা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
জমি দখলে নিয়ে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন সন্তানরা! আনোয়ারা বেগম।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বসতঘরের জমি দখলে নিয়ে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন সন্তানরা।  

উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের চকচকিয়া শ্রীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনার পর বৃদ্ধ মা আনোয়ারা বেগম (৭০) গত নয় দিন ধরে মেয়ের বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার কৈয়াদী গ্রামে অবস্থান করছেন।

আনোয়ারা বেগম ওই গ্রামের মৃত মাঈন উদ্দিনের স্ত্রী। এ ঘটনায় সখীপুর থানায় ছেলেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই মা।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা বেগমের স্বামী মাঈন উদ্দিন প্রায় ৩০ বছর আগে মারা যান। মারা যাওয়ায় পর স্বামীর রেখে যাওয়া ২২ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করে অনেক কষ্টে ৫ ছেলে ও ১ মেয়েকে বড় করেছেন তিনি। সম্প্রতি সেই জমিটি ৫ ছেলে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। এছাড়াও মায়ের থাকার একমাত্র ঘরটি ভেঙে দিয়ে গত নয় দিন আগে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন ওই সন্তানেরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃদ্ধ আনোয়ারা বেগমকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কাঁদতে দেখে কারণ জানতে চাইলে  তিনি বলেন, স্বামীর রেখে যাওয়া ২২ শতাংশ জমি ছিল। কদিন আগে জমিটুকু ছেলেরা দখলে নিয়ে নিয়েছে। আবার আমার থাকার ঘরটি ভেঙে দিয়ে আমাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। কয়েকদিন আমি এ বাড়ি ও বাড়ি ছিলাম। পরে খবর পেয়ে মেয়ে এসে তার বাড়িতে নিয়ে গেছে।  

তিনি বলেন, এতো কষ্ট তরে সন্তানদের বড় করলেও তারা আমাকে কোনোদিনও ভরণপোষণের খরচ দেয় নাই। বাবারা আমি আমার ছেলেদের বিচার চাই আমার স্বামীর ভিটা ফিরা পাইতে চাই। আমি বাকিটা জীবন ওখানেই কাটামু।
 
এ ব্যাপারে ওই বৃদ্ধার বড় ছেলে আবুল কালামের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, জমি জোর করে দখলে নেওয়া হয়নি। ওখানে আমাদের থাকার জন্য ঘর বানাবো তাই আগের ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

আনোয়ারার মেয়ে সুমিয়া বেগম (৩৮) বলেন, ভাইয়েরা মায়ের জমি দখল নিয়েছে। থাকার একমাত্র ঘরটিও ভেঙে দিয়ে এক কাপড়ে মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।